বিশ্বম্ভরপুরে সামাজিক কবরস্থানের নামে বরাদ্দ নিয়ে পারিবারিক কবরস্থানের স্থাপনা নির্মাণ

Sanchoy Biswas
মো. আব্দুল শহীদ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৪:৪৫ অপরাহ্ন, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২:৫১ অপরাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে সামাজিক গণ-কবরস্থানের গেট ও ওয়াল নির্মাণের নামে জেলা পরিষদের বরাদ্দ নিয়ে সাবেক এমপি এডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিছবাহ'র মামার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে নিম্নমানের গেট ও ওয়াল নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের খিরধরপুর গ্রামস্থ সামাজিক গণ-কবরস্থানের নামে এক লাখ পঁচাত্তর হাজার টাকা বরাদ্দ নিয়ে সাবেক এমপি এডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিছবাহ'র মামার পারিবারিক কবরস্থানে নিম্নমানের নামকাওয়াস্তে গেট ও ওয়াল নির্মাণ করা হয়। গত ৩ মে ২০২১ সালে সামাজিক গণ-কবরস্থান নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন তৎকালীন এমপি এডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিছবাহ।

আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পার্কিং করা যাত্রীবাহী বাসে রহস্যজনক আগুন

পারিবারিক কবরস্থানের ভূমির মালিক পল্লী চিকিৎসক ডা. নোমান মিয়া বলেন, আমাদের পারিবারিক কবরস্থানের উন্নয়নের জন্য আমি অনেকবার সাবেক এমপি মিছবাহ ভাইয়ের কাছে গেলে তিনি বলেন, পারিবারিক কবরস্থানে আমার কোনো বরাদ্দ নাই। তুমি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট ভাইয়ের কাছে যাও, আমি বলে দিচ্ছি একটা বরাদ্দ দেওয়ার জন্য। তারপর আমি মুকুট ভাইয়ের কাছে সামাজিক কবরস্থানের জন্য আবেদন করার পর এক লাখ পঁচাত্তর হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই বরাদ্দ দিয়ে সামাজিক কবরস্থানে কাজ না করিয়ে জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার সাহেব আমাদের পারিবারিক কবরস্থানে গেট ও ওয়াল নির্মাণের কাজ করিয়েছেন। এই কাজের কোনো ঠিকাদার ছিল না। সামান্য কাজ করেই রড ও বালু-পাথর এলাকার বিভিন্ন লোকজনের কাছে বিক্রি করেছিলেন ইঞ্জিনিয়ার নিজেই। বরাদ্দের অর্ধেক টাকার কাজও হয়নি আমাদের কবরস্থানে।

স্থানীয় কৃষক মাসুক মিয়া বলেন, অর্থের অভাবে আমাদের সামাজিক কবরস্থানে কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, সামাজিক কবরস্থানের নামে বরাদ্দ এনে পারিবারিক কবরস্থানে গেট ও ওয়াল নির্মাণের কাজ হয়েছে। আমি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে ওই ঘটনার নিন্দা জানাই।

আরও পড়ুন: খুলনা ১ আসনে কৃষ্ণ নন্দী জামায়াতের প্রার্থী হতে পারে

খিরধরপুর গ্রামের মুদি দোকানি তাজুল ইসলাম বলেন, শুনেছি সামাজিক গণ-কবরস্থানের নামে জেলা পরিষদ এক লাখ পঁচাত্তর হাজার টাকা নির্মাণ কাজের জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু সামাজিক কবরস্থানে কাজ না করে পারিবারিক কবরস্থানে নিম্নমানের গেট ও ওয়াল নির্মাণ করেছেন ইঞ্জিনিয়ার।

জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী আয়েশা আক্তারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করার পর রিসিভ করেননি। তাই বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।