সাতক্ষীরার ৫ গ্রামের চলাচলের একমাত্র ভরসা ভাসমান বাঁশের সাঁকো
সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলা কোঠাবাড়ি ও রায়টা গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত বেত্রবতীর নদীর ওপর ভাসমান বাঁশের সাঁকো। টেকসই সাঁকো না থাকায় বর্তমানে বাঁশের ভাসমান সাঁকো বানিয়ে ৫ গ্রামের মানুষ চলছে নদী পারপার। কোঠাবাড়ি গ্রাম এবং পাশের গ্রাম শুভঙ্করকাটি, ও হেলাতলা, অপর পাড়ে রায়টা ও আলাইপুর গ্রাম। বেত্রবতী নদীর তীরে এ গ্রামগুলোর অবস্থান। টেকসই সাঁকো না থাকায় কোমলমতি পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ বিপুল জনগোষ্ঠী নদী পারাপারে অসর্হনীয় দুর্ভোগের মুখে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে । এ জনপদের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি, বেত্রবতীর ওপর একটি টেকসই সেতু নির্মাণ করা। কোঠাবাড়ি গ্রামের ঠিক বিপরীতে নদী তীরবর্তী কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের রায়টা গ্রাম। এই দুই গ্রামকে বিভক্ত করেছে বেত্রবতী। স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় সদ্য বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা প্রায় ৭০ মিটার দীর্ঘ অপ্রশস্থ ভাসমান সাঁকোটি দাঁড়িয়ে আছে ।৬০টি প্লাস্টিকের ড্রামের ওপর। ড্রামগুলো সুনিপুণভাবে বাঁশের খুঁটি ও পাটাতনের সাথে সংযুক্ত করে দিয়ে সাঁকোটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় হ্যান্ডক্যাপসহ পালিয়ে যাওয়া আ.লীগ নেতা রাজু গ্রেফতার
তবে সাঁকোটির ওপর দিয়ে চলাচলের সময় সাঁকোটি দোলে। সেই সাথে দুলে দুলে সাঁকো পার হন মানুষ। সাঁকোটি এতটাই সংকীর্ণ যে একটি বাইসাইকেল সাথে করে নিয়ে পার হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। গত বছর অক্টোবরে বেত্রবতী নদীর ওপর স্থাপন করা বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যায়। এরপর ড্রাম দিয়ে ভেলা বানিয়ে তা দিয়ে মানুষ নদী পারাপার হতে থাকেন। পরবর্তীতে স্থানীয়দের প্রচেষ্টা ও হেলাতলায় ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় সম্ভব হয়েছে নদীটির ওপর ভাসমান বাঁশের একটি সাঁকো স্থাপন করা।
হেলাতলায় ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, তাঁর ভাই ইমাম হোসেন আর্থিক সহায়তা করেন এই সাঁকো নির্মাণ কাজে তিনি বলেন, সাঁকোটি স্থাপিত হওয়ায় দুপারের মানুষ নদী পারাপার হতে পারছেন। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে। সাঁকোর উপর দিয়ে পার হওয়া স্কুল শিক্ষার্থী আবির, সুবান, আমেনা,ও জুবায়ের প্রতিদিন দল বেঁধে এই সেতু দিয়ে স্কুলে যায় আবার ছুটির পরে বাড়ি ফিরে আসে।
আরও পড়ুন: এক বস্তায় দুই মেয়াদ, খাদ্যনিয়ন্ত্রকের অবহেলায় গরিবের কপালে পোকা ধরা চাল
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হলেও এখনো সেটির অনুমোদন পায়নি।
এলাকাবাসী দাবি, একটি টেকসই সেতু নির্মাণ করা গেলে বেত্রবতীর দুই তীরের মানুষের বদলে যেতো জীবনযাত্রা। শুরু হতে পারতো এ জনপদের যোগাযোগের এক নবদিগন্তের। ড্রাম দিয়ে তৈরি করা ভাসমান বাঁশের সেতু দূর থেকে দেখলে মনোরম মনে হতেই পারে কিন্তু বাস্তবে এটি মোটেই টেকসই স্থায়ী ব্যবস্থা নয় এমনটি মনে করেন এলাকাবাসী।





