মাদারীপুরে কালকিনিতে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে ১ জনকে কুপিয়ে যখম
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লক্ষীপুরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে আনোয়ার হোসেন হাওলাদার নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে যখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
ঘটনা ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর সকালবেলা, লক্ষীপুর বাজারে। আহত আনোয়ার হোসলাদার লক্ষীপুর ইউনিয়নের চর-লক্ষীপুর গ্রামের মৃত মাইনুদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। এ ঘটনায় কালকিনি থানায় মামলা হলে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু, আহত অর্ধশত
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চর-লক্ষীপুর গ্রামের আনোয়ার হাওলাদারের সাথে একই গ্রামের মৃত কামাল হাওলাদারের ছেলে মাসুদ হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধে লিপ্ত ছিলেন। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে লক্ষীপুর বাজারে সরিষা বিক্রি করে ফেরার সময়, আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা মাসুদ হাওলাদার, শামীম হাওলাদার, হারুন হাওলাদারসহ ১০/১৫ জন মিলে আনোয়ার হাওলাদারের উপর হামলা চালায়।
এ সময় রড, কাঠ ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে পিটিয়ে গুরুতর যখম করে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত আনোয়ার হাওলাদারকে উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমান দেশ থেকে বাকশাল দূর করেছিলেন: ড. মঈন খান
এই ঘটনায় আহত আনোয়ার হাওলাদারের ছেলে শাওকাত হোসেন বাদি হয়ে মাসুদ হাওলাদার, শামীম হাওলাদার, হারুন হাওলাদার, মোশাররফ হাওলাদার, সীয়াম হাওলাদারসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে কালকিনি থানায় হত্যা চেষ্টা ও মারধরের মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আহত আনোয়ার হোসলাদার বলেন, “জমিজমা নিয়ে মাসুদ হাওলাদারের সাথে বিরোধ ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে সরিষা বিক্রি করতে বাজারে যাই। ফেরার সময় বাজারের মধ্যে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা ১০-১৫ জন আমাকে রড, কাঠের লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আমার মাথায় ছয়টি সেলাই লেগেছে। অল্পের জন্য বেঁচে গেছি। হামলাকারীদের বিচার চাই।”
আহত শাওকাত হোসলাদার বলেন, “বাজারের মধ্যে হওয়ায় কিছু লোক আমার বাবাকে হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা করেছে। আমরা চাই তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক।”
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, “আনোয়ার হাওলাদারের উপর হামলার ঘটনায় একটি হত্যা চেষ্টা ও মারধরের মামলা করা হয়েছে। আমরা ২নং আসামী শামীম হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।”





