ভয়াবহ ভূমিকম্পে নরসিংদীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, নিহত ২ আহত ৭৭
স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে নরসিংদীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং দুইজনের প্রাণহানি সহ মোট ৭৭ জন আহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
নিহতরা হলেন, নরসিংদী শহরতলীর গাবতলি এলাকার দেলোয়ার হোসেনের শিশু সন্তান হাফেজ ওমর (৮) ও পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের মালিতা পশ্চিমপাড়া গ্রামের কাজেম আলী ভূইয়া (৭৫)।
আরও পড়ুন: খুলনা ১ আসনে কৃষ্ণ নন্দী জামায়াতের প্রার্থী হতে পারে
এবিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখতে জেলা প্রশাসক নিজস্ব কন্ট্রোল রুম খুলেছেন।
জেলা প্রশাসকের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান জানান, শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে নরসিংদী জেলার সদর ও পলাশ উপজেলার মধ্যবর্তী অঞ্চলে ভূমিকম্প ঘটে। প্রাথমিক তথ্যমতে, ভূমিকম্পে আতংকিত হয়ে হুড়োহুড়ি করে উঁচু ভবন থেকে নামতে গিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে শতাধিক লোকজন আহত হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত দুই জন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পার্কিং করা যাত্রীবাহী বাসে রহস্যজনক আগুন
এর মধ্যে নরসিংদী শহরতলী গাবতলিতে নির্মাণাধীন ভবনের মালামাল নিচে পড়ে ৪ জন আহত হন। তাদের মধ্যে মারাত্মকভাবে আহত দুইজনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু হাফেজ ওমর (৮) কে মৃত ঘোষণা করেন এবং বাবা দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বলের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
অপরদিকে পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের মালিতা পশ্চিমপাড়া গ্রামের কাজেম আলী ভূইয়া (৭৫) নামে এক বৃদ্ধ মাটির ঘরের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু বরণ করেন।
তিনি আরও জানান, বিস্তারিত তথ্যের জন্য ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়ে কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
এদিকে নরসিংদী সুপার মো. মেনহাজুল আলম ভূমিকম্পে আহতদের দেখতে এবং তাদের খোঁজখবর নিতে হাসপাতালসহ আহত পরিবারের মাঝে ছুটে যান। এসময় তিনি পুলিশের সকল ইউনিটকে দুর্যোগের মুহূর্তে দ্রুত সময়ের মধ্যে সহায়তা, চিকিৎসা সেবা, রক্তদান ও সুরক্ষা প্রদান করতে নির্দেশ দেন।
ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিস) জানিয়েছে, বাংলাদেশের ভূমিকম্পের রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৭ এবং উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী শহর থেকে প্রায় ১০ কিমি দূরে, মাধবদী ও পলাশের মধ্যবর্তী এলাকায়।





