পর্নোগ্রাফি মামলায় জামিন নিতে গিয়ে ভুয়া আসামি কারাগারে
জয়পুরহাটে পর্নোগ্রাফি মামলায় আসল আসামির বদলে ভুঁয়া আসামি জামিন নিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন মাহফুজুল হক নামে এক যুবক। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর পর বিষয়টি জানাজানি হয়। মামলার আসল আসামী জুলফিকার নিপু আদালতে হাজির না হয়ে জালিয়াতি করে মাহফুজুলকে আদালতে পাঠান জামিন নেওয়ার জন্য। অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় আদালত বর্ণিত ভূঁয়া আসামী মাহফুজুলকে কারাগারে পাঠায়। পরবর্তীতে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর ওই যুবকসহ ঘটনার সাথে জড়িত ৫ জনের নামে একটি জালিয়াতি মামলা করা হয়।
পর্নোগ্রাফি মামলার ১নং আসামী জুলফিকার নিপু বাহ্মণ বাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন বগইর গ্রামের জনৈক জয়নাল আবেদীনের ছেলে। বর্তমানে রাজশাহীর রাজপাড়া থানার বহরমপুর গ্রামে বসবাস করেন। আর মাহফুজুল হক জয়পুরহাট শহরের শাপলানগর এলাকার জনৈক আব্দুর রহিম মন্ডলের ছেলে।
আরও পড়ুন: খুলনা ১ আসনে কৃষ্ণ নন্দী জামায়াতের প্রার্থী হতে পারে
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, জুলফিকার নিপুর একজন প্রবাসী। তার সাথে জয়পুরহাট সদর উপজেলার এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে মেয়েটির কিছু ছবি এবং একান্ত সময়ের কিছু ভিডিও ধারণ করে নিপু। পরবর্তীতে ওই মেয়ের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা দাবী করেন। টাকা না দেওয়ায় তাদের অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় মেয়েটি বাদী হয়ে জয়পুরহাট চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৬ নভেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল জুলফিকার নিপু। কিন্তু আসামী জুলফিকার নিপু নিজে হাজির না হয়ে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে মাহফুজুল হককে জুলফিকার নিপু হয়ে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য চুক্তি করেন। এরপর মাহফুজুল জুলফিকার নিপুর বদলে আদালতে হাজিরা দেন। এরপর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়। পরে আদালত জানতে পারেন মাহফুজুল এই মামলার আসল আসামি নয়। টাকার বিনিময়ে তিনি প্রতারণা করে জুলফিকার নিপুর পরিবর্তে আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন। এ ঘটনায় মাহফুজুলসহ ৫ জনের নামে একটি প্রতারণার মামলা করে আদালত। বর্তমান মাফুজুল কারাগারে রয়েছেন।





