হাসপাতালের সরকারি ওষুধ বাহিরে পাচারের সময় পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ আটক ২
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ ময়লার গাড়িতে করে পাচার করার সময় হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে হাসপাতাল চত্বরের প্রধান ফটকে আনসার সদস্যরা তল্লাশি চালিয়ে ওষুধসহ তাদের আটক করেন।
আরও পড়ুন: ধর্মপাশায় বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৫ উদযাপিত
আটককৃতরা হলেন হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী টুবেল হরিজন (৩৫) ও ডোামের সহযোগী ইবাদুল মিয়া।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালে কর্মরত আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক হাসপাতালের প্রধান ফটকে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় টুবেল ও ইবাদুলকে একটি ময়লার ভ্যান গাড়িতে হাসপাতালের বিভিন্ন পরিত্যক্ত সরঞ্জাম নিচ্ছিলেন। এ সময় আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক তাদের থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একপর্যায়ে তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে ভ্যানটি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিতে ভ্যান থেকে সলবিয়ন ভিটামিন ওষুধের মোট ১৮০ বক্স উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বক্সে ৫০ পিস করে মোট ৯,০০০ পিস সরকারি ওষুধ পাওয়া যায়। উদ্ধার হওয়া ওষুধের মেয়াদ ২০২৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন: অসহায় মানুষের পাশে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুইজন আনসার সদস্যকে জানান, তারা ওষুধগুলো হাসপাতালের বাইরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ঘটনার বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে কোম্পানি কমান্ডারকে জানান আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। পরবর্তীতে পালং মডেল থানার পুলিশকে জানানো হলে ওষুধ বক্সসহ দুইজনকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
কর্তব্যরত আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হাসপাতালের দুইজন কর্মচারী ময়লার গাড়িতে করে হাসপাতালের বিভিন্ন পরিত্যক্ত সরঞ্জাম নিচ্ছিলেন। তাদের দুজনকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করি। একপর্যায়ে তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে ভ্যানটি তল্লাশি করে হাসপাতালের এক কার্টুন সরকারি ওষুধ বাহিরে নিয়ে যাচ্ছিল। ওষুধসহ তাদের আটক করে আমার কোম্পানি কমান্ডারকে জানাই।
হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, হাসপাতালের সরকারি ওষুধ বাহিরে নিয়ে যাওয়ার সময় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।





