নির্বাচনী ব্যয়ে জনগণের অংশগ্রহণ চান ফয়সাল মাহুমুদ শান্ত
শত কোটি টাকার নির্বাচনী ব্যয় আর তার পরের দুর্নীতির চক্র ভাঙতে জনগণের কাছে সরাসরি সহায়তা চেয়েছেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা–১৯ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী ফয়সাল মাহুমুদ শান্ত।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের জন্য ডোনেশনের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপি প্রার্থী মাসুদ
ফেসবুকে পোস্ট করা ফোটোকার্ডে তাঁর ছবি ও বিকাশ-নগদের নম্বর যুক্ত করে লেখা হয়—ঢাকা–১৯ আসনে ফয়সাল মাহমুদ শান্তের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে ডোনেট করুন।
এমন উদ্যোগকে এই প্রার্থী মানি-মাসেল নির্ভর রাজনীতির বিপরীতে জনগণের অংশগ্রহণমূলক রাজনীতির সূচনা হিসেবে দেখছেন।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস উপলক্ষে এনসিপির বিজয় র্যালী
স্ট্যাটাসে ফয়সাল মাহুমুদ শান্ত লেখেন, গত দেড় বছর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি কোনো দপ্তরে তদবির বা লবিং করেননি। অবৈধ বা অন্যায় কোনো পথে অর্থ গ্রহণও করেননি। তাঁর ভাষায়, পুরোনো রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে সরে আসাই ছিল পরিবর্তনের প্রথম ধাপ।
তিনি লেখেন,গত ১৪ মাস আমি কোনো বিনিময় ছাড়াই শিক্ষক, কর্মচারী ও শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। বিশ্বাস রেখেছি—‘কর্ম’ কখনো প্রতারণা করে না। আমি আপনাদের সেই চেনা ফয়সাল মাহমুদ শান্ত। জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে সংসদ সদস্য পদে দাঁড়িয়েছি।
দেশের রাজনীতিতে অর্থ ও পেশিশক্তির প্রভাবের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, একা এই পরিবর্তন সম্ভব নয়। সবার সহযোগিতায় যদি মাত্র ১ শতাংশ পরিবর্তনও আনা যায়, সেটাই হবে তাঁর রাজনৈতিক যাত্রার বড় অর্জন।
এ বিষয়ে ফয়সাল মাহুমুদ শান্ত বাংলাবাজার পত্রিকাকে বলেন,একজন প্রার্থী শত কোটি টাকা খরচ করে সংসদে যান। পরে সেই টাকা তুলতে গিয়ে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। আমি চাই এই নির্বাচনে জনগণও অংশীদার হোক। যেন তারা বলতে পারে—আমরা শুধু ভোট দিইনি, নিজেদের অর্থ ব্যয় করেই আমাদের প্রতিনিধি সংসদে পাঠিয়েছি।
তিনি আরও বলেন,যত কম খরচে নির্বাচন করা যাবে, নির্বাচনের পর মানুষের জন্য কাজ করা তত সহজ ও স্বচ্ছ হবে।





