আজিমপুরে মায়ের কবরের পাশে হায়াতুন নেসার দাফন
নারী উদ্যোক্তা শিক্ষানুরাগী হায়াতুন নেসার জানাজা আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) পূর্ব রাজাবাজার জামে মসজিদে যোহর নামাজের পর দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয়। তার ইচ্ছা ও পারবিারকি সিদ্ধান্তে মায়ের কবররে পাশে দাফন করা হয়।
এর আগে দুপুর ১২ টায় লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে করে মরহুমা হায়াতুন নেসার মরদেহ ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে পূর্ব রাজাবাজার জামে মসজিদে নিয়ে আসা হয়। সেখানে মরহুমার জানাজায় অংশগ্রহণ করেন পূর্ব রাজা বাজার এলাকার বিপুল সংখ্যক মুসল্লি, গণ্যমান্য ব্যক্তি, আত্মীয়স্বজন। তারা সবাই সেখানে জোহর নামাজ আদায় করেন এবং নামাজ শেষে মসজিদের খতিবের ইমামতিতে মরহুমার জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: শুরু হচ্ছে শিশু-কিশোরদের এক মাসব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন

আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনে পথশিশুদের নিয়ে দিনব্যাপী আনন্দ উৎসব
জানাজার পূর্বে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন
মরহুমার ছোট ভাই সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর বীর প্রতীক, ছোট ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেখ নুর ইসলাম।
এছাড়া মরহুমার জানাজায় ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক, সাবেক জেলা দায়রা জজ মফিজুর রহমান, বাংলাবাজার পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শাহনেওয়াজ দুলাল, সিটি এডিটর মুস্তাফিজুর রহমান বিপ্লব, রাজা বাজার এলাকার কাউন্সিলর আব্দুল গাফার ,শেরেবাংলা নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সাব্বির হোসেন মাসুদ, সিনিয়র সহ সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, তেজগাও থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বেলাল হোসেন, ফু-ওয়াং গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তা শামীম বিল্লা , মেজর (অব) সিদ্দিক সহ মরহুমার আত্মীয়সজন ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।
জানাজার পর লাশবাহী গাড়ির সাথে বিপুল সংখ্যক শোকাহত মানুষ আজিমপুর কবরস্থানে যান। সেখানে মরহুমার মায়ের কবরের পাশে নির্ধারিত স্থানে তাকে দাফন করা হয়। দাফনের পর আজিমপুর কবরস্থান মসজিদের ইমামের দোয়ায় পরকালীন শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এ সময় সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহিবুল হকের নেতৃত্বে মরহুমার স্বজনদের নিয়ে কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
প্রসঙ্গত
গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হায়াতুন নেসা ইন্তেকাল করেছেন( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ফুসফুস নিউমোনিয়া সহ বার্ধক্য জনিত বিভিন্ন জটিলতা ভুগছিলেন। তিনি রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবক মরহুম শেখ লুৎফর রহমানের স্ত্রী।

মৃত্যুকালে তিনি দুই পুত্র এক কন্যা সহ অসংখ্য গুণ গ্রাহি রেখে গেছেন। তার ছেলে মেয়ে সকলেই ইউরোপ আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি দীর্ঘদিন বি এফ শাহীন স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষিকা ছিলেন এরপর তিনিও দীর্ঘ ২৬ বছর ইউরোপে বসবাস করেছেন। গত কয়েক মাস ধরে শারীরিক জটিলতা নিয়েই দেশে ফিরেন। দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী শেখ নুর ইসলাম তার ছোট ছেলে। শেখ নুর ইসলাম ডমিনো’স ও ফুওয়াং গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বত্বাধিকারী। ছোট ছেলের তত্ত্বাবধানে ইউনাইটেড হাসপাতালে গত দেড় মাস ধরে তাকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। মরহুমা হায়াতুন নেছার ছোট ভাই সাবেক বস্ত্র পাঠ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী গোলাম দস্তগীর বীর প্রতীক।
হায়াতুন নেসা মৃত্যুর সংবাদে সন্তান-সন্ততি ভাই-বোন আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা ইউনাইটেড হাসপাতালে থাকাকালীন গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন। হাসপাতালে শোকাবহ পরিবেশের তৈরি হয়।
শুক্রবার দোয়া মাহফিল:
মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনায় পরিবারের পক্ষ থেকে আগামী (শুক্রবার ২৬ এপ্রিল) বাদ আসর পুর্ব রাজা বাজার জামে মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এর আয়োজন করা হয়েছে। ছোট ছেলে শেখ নুর ইসলাম জানাজার নামাজের পুর্ব বক্তব্য এবং দাফন শেষে পরিবারের পক্ষ থেকে মাহফিলে অংশ গ্রহণের জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।





