পালালেন এক ওসি প্রত্যাহার হলেন আরেক ওসি

পুলিশ হেফাজত থেকে ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক ওসি শাহ আলমের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বর্তমান ওসি মহিবুল্লাহকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তাকে প্রত্যাহার করে সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তরা পূর্ব থানা হেফাজত থেকে পালিয়ে যান শাহ আলম, যাকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় আগের দিন গত বুধবার কুষ্টিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এএসআই সাজ্জাদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। উত্তরা পূর্ব থানা থেকে আদালতে নেওয়ার প্রস্তুতির মধ্যে শাহ আলম পালিয়ে যান বলে জানিয়েছিলেন ওসি মহিবুল্লাহ।
এদিকে, ওসি শাহ আলমকে গ্রেফতারে সারাদেশে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, থানা থেকে গ্রেফতার শাহ আলমের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে রেড অ্যালার্ট জারিসহ সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাও রুজু করেছে বলে জানান ডিসি রওনক জাহান। এর আগে, গত বুধবার মধ্যরাতে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনস থেকে গ্রেফতার করার পর তাকে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় আনা হলে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যান শাহ আলম। অন্যদিকে, রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা থেকে হত্যা মামলার আসামি সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ওসি মহিবুল্লাহকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। ডিএমপির কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে এ ঘটনায় এএসই সাজ্জাদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ডিএমপি কমিশনার বলেন, এই ঘটনায় দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে রয়েছে এসি উত্তরা এবং উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১ আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানায় ওসি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন শাহ আলম। ওসি শাহ আলম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেষ সময়ে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি ছিলেন শাহ আলম। সর্বশেষ তিনি কুষ্টিয়ার ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আন্দোলনের সময়কার ভূমিকা নিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর উত্তরা পূর্ব থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় তাকে আসামি করা হয়।