দুর্গম বুলুপাড়ায় বিজিবির প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ

Any Akter
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৩:১৭ অপরাহ্ন, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রান্তিক ও দুর্গম এলাকার শিশুদের শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে মানবিক উদ্যোগ নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বান্দরবানের থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নের বুলুপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে আলীকদম ব্যাটালিয়ন (৫৭ বিজিবি)। পাশাপাশি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সহায়ক উপকরণও বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) সকালে বিদ্যালয়টির উদ্বোধন করেন আলীকদম ব্যাটালিয়ন (৫৭ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মেহেদী। উদ্বোধন শেষে প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থীর হাতে বই, খাতা, কলম, পেন্সিল, রাবারসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষাসামগ্রী এবং চকলেট ও বিস্কুট তুলে দেন তিনি।

আরও পড়ুন: ঢাকার ৫০ থানার ওসিসহ ঊর্ধ্বতন ব্যাপক রদবদল

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অধিনায়ক বলেন, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দুর্গম পার্বত্য সীমান্ত এলাকায় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আলীকদম ব্যাটালিয়ন দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় পাহাড়ি-বাঙালি জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছে। ‘অপারেশন উত্তরণ’ কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা, খাদ্য-পোশাক বিতরণ, শীতবস্ত্র প্রদান, অগ্নিকাণ্ড ও বন্যার ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তাসহ বিভিন্ন মানবিক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এসব কর্মসূচি এলাকায় শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

তিনি আরও বলেন, সীমান্তবর্তী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিশুরা যাতে শিক্ষার বাইরে না থাকে, সেই লক্ষ্যেই বুলুপাড়ায় এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি মানবিক ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন: ডিএমপিতে বড় রদবদল

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুলুপাড়ার এই বিদ্যালয়টি ৩টি পাড়ার প্রায় ৫০টি পরিবারের ৭০-৮০ জন শিক্ষাবঞ্চিত শিশুর জন্য শিক্ষার নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের অভাবে শিক্ষার আলো থেকে দূরে থাকা এসব শিশুর জন্য এটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।

বিদ্যালয় স্থাপনের এই মহতী উদ্যোগে স্থানীয় জনগণ, জনপ্রতিনিধি, অভিভাবক, কারবারী/হেডম্যানসহ সর্বস্তরের মানুষ বিজিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়। তাঁদের মতে, বিজিবি শুধু সীমান্তরক্ষী বাহিনী নয়—দুর্গম পাহাড়ি এলাকার মানুষের উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তার নির্ভরযোগ্য অবলম্বন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পদবীর বিজিবি সদস্য, স্থানীয় কারবারী, অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।