ফায়ার সার্ভিস

কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১,৫০০ ঘর পুড়ে ছাই

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২৩ পূর্বাহ্ন, ২৬ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১০:২৩ পূর্বাহ্ন, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর গুলশানের কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত এক হাজার পাঁচ শতাধিক ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার কিছু পর আগুন ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই পুরো এলাকার ঘরগুলো দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে।

আরও পড়ুন: রাজধানীর মগবাজার ও তেজগাঁওয়ে আগুন

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় প্রায় ৩৫ মিনিট পর। যানজট ও সরু রাস্তা বড় ফায়ার ট্রাকে পৌঁছাতে বড় বাধা তৈরি করে। পরে মোট ১৯টি ইউনিট টানা পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই আগুন ‘ডেভলপমেন্ট স্টেজে’ পৌঁছে যায়। বস্তির ভেতরে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা বিদ্যুতের তার ও ঘরগুলোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বলেন,

আরও পড়ুন: এবার দুদকের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আগুনের উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হতে তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি। তবে আগুনের মাত্রা দেখে ধারণা করা হচ্ছে বিপুল সংখ্যক পরিবার এক রাতেই সর্বস্ব হারিয়েছে।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, কড়াইল বস্তিতে ফায়ার সার্ভিস নিয়মিত মহড়া করে থাকে, যা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করেছে। পানির ঘাটতি ছিল না; ওয়াসার পানি, পানিবাহী গাড়ি এবং পাশের ড্রেন থেকে পানি ব্যবহার করা হয়েছে।

শীতকালকে অগ্নিকাণ্ডের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সময় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিসেম্বর–জানুয়ারি আমাদের ভাষায় আগুনের সিজন। এই সময়ে আগুন লাগার ঘটনা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি হয়।

স্থানীয়দের পক্ষ থেকে হেলিকপ্টার দিয়ে আগুন নেভানোর প্রস্তাব দেওয়া হলে ফায়ার সার্ভিস জানায়— হেলিকপ্টারের বাতাসে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে; তাই এটি এখানে কার্যকর নয়।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে শত শত পরিবার রাতারাতি নিঃস্ব হয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে।