বিএফআইইউর সাবেক প্রধান শাহীনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের প্রমাণ পেল এনবিআর

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সদ্য বরখাস্ত হওয়া প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও কর ফাঁকির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এনবিআরের তদন্তে জানা গেছে, ইস্টার্ন ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি তার মেয়ে নোভা ইসলামের কাছে কানাডায় প্রায় ১ কোটি ১১ লাখ টাকা পাঠান। কিন্তু কর নথিতে মাত্র ১০ লাখ টাকা ঘোষণা করেছিলেন। অর্থাৎ প্রায় ১ কোটি টাকা অবৈধভাবে পাচার করা হয়।

আরও পড়ুন: বাণিজ্যের সিংহভাগ চট্টগ্রাম অঞ্চলের ওপর নির্ভরশীল: গভর্নর

এ ছাড়া তার নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ফ্ল্যাট ও সম্পত্তির তথ্য পাওয়া গেছে যা কর ফাইলে উল্লেখ নেই। শুধু ব্যাংক অ্যাকাউন্টেই নয়, বিকাশ, রকেট ও বিভিন্ন ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও কোটি টাকার লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। এমনকি ২০ লাখ টাকার একটি এফডিআরও গোপন করেছিলেন তিনি।

গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, শাহীনুল ইসলামের স্ত্রী সুমা ইসলামের নামে সিদ্ধেশ্বরীতে কেনা ফ্ল্যাটের দলিলমূল্য দেখানো হয়েছে ৩১ লাখ টাকা, অথচ বাজারমূল্য প্রায় ৭১ লাখ টাকা। কিন্তু তার কোনো বৈধ আয় নেই এবং কখনো আয়কর রিটার্ন দাখিলও করেননি। একইভাবে শ্বশুর আলাউদ্দিন খানের নামে থাকা ফ্ল্যাটের প্রকৃত মূল্য দলিলে দেখানো মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।

আরও পড়ুন: বিদেশে পাচার অর্থ উদ্ধারে ৬৬,১৪৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ সংযুক্ত ও অবরুদ্ধ

একজন কর গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, শাহীনুল ইসলামের ব্যাংক ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল লেনদেন তার কর নথির সঙ্গে বিরাট অসংগতি সৃষ্টি করছে। কর ফাঁকির পাশাপাশি বৈধতার আড়ালে অর্থপাচারেরও সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি এক ভিডিও কেলেঙ্কারির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে ছুটিতে পাঠায় এবং গত ৮ সেপ্টেম্বর সরকার তার নিয়োগ বাতিল করে।