যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক আমদানি ২৬.৬২ শতাংশ বৃদ্ধি

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১০ পূর্বাহ্ন, ০৫ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১২:১১ পূর্বাহ্ন, ০৫ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্ববাজারে পোশাক আমদানিতে সামগ্রিকভাবে মন্দা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা উল্টো বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। মার্কিন সরকারি সংস্থা ‘অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেল (ওটেক্সা)’-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক আমদানি বেড়েছে ২৬.৬২ শতাংশ। অন্যদিকে একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বব্যাপী মোট পোশাক আমদানি কমেছে ৫.৩০ শতাংশ।

তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশ চীনের রপ্তানি কমেছে ১৮.৩৬ শতাংশ, আর ভিয়েতনাম ও ভারতের রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ৩২.৯৬ এবং ৩৪.১৩ শতাংশ।

আরও পড়ুন: ৫ ব্যাংক একীভূতকরণে ক্ষতির গুজব নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা

এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি কমেছে ১৯.৮২ শতাংশ, আর কম্বোডিয়ার রপ্তানি বেড়েছে ১০.৭৮ শতাংশ।

ইউনিট মূল্যের দিক থেকেও বাংলাদেশ ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি ইউনিট মূল্য কমেছে ১.৭১ শতাংশ, কিন্তু বাংলাদেশের ইউনিট মূল্য বেড়েছে ৭.৩০ শতাংশ।

আরও পড়ুন: চলতি অক্টোবরের ১১ দিনে প্রবাসী রেমিট্যান্স ৯৯ কোটি ডলার ছাড়াল

তুলনায় চীন ও ভারতের ইউনিট মূল্য কমেছে যথাক্রমে ৩৩.৮০ ও ৪.৫৬ শতাংশ, অন্যদিকে ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও কম্বোডিয়ার ইউনিট মূল্য বেড়েছে ৬.৬৪, ৭.৩৮ ও ৩৮.৩১ শতাংশ।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, আমরা যখন ভিয়েতনাম ও ভারতের সঙ্গে তুলনা করি, তখন দেখা যায় বাংলাদেশের ইউনিট মূল্য আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এতে রপ্তানির পরিমাণ না বাড়িয়েও আয় বাড়ানো সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালে চীন ও ভিয়েতনামের রপ্তানি মূল্য প্রায় সমান ছিল, অথচ ভিয়েতনামের রপ্তানি পরিমাণ ছিল চীনের অর্ধেক। কারণ, ভিয়েতনাম উচ্চমূল্যের পণ্য রপ্তানি করে।

রুবেল মনে করেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে কম দামের পণ্য থেকে উচ্চমূল্যের পণ্যের দিকে মনোযোগ বাড়াতে হবে, যাতে টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হয়।