কর্মী ছাঁটাই নিয়ে বিপাকে ইসলামী ব্যাংক, আদালতে তলব শীর্ষ কর্তাদের

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:২৬ অপরাহ্ন, ৩১ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৫:২৬ অপরাহ্ন, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রায় পাঁচ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই এবং একই পদে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর অভিযোগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের শীর্ষ কর্মকর্তাদের তলব করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

ঢাকার পঞ্চম যুগ্ম জেলা জজ আদালত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) এই আদেশ দেন। তলবকৃতদের মধ্যে রয়েছেন—ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।

আরও পড়ুন: রেকর্ড ৭৩তম বারের মতো স্বর্ণের দাম বাড়ালো বাজুস

চাকরিচ্যুত দুই কর্মকর্তা—রাঙ্গামাটি শাখার সাবেক কর্মকর্তা এস এম এমদাদ হোসেন ও চট্টগ্রামের হালিশহর শাখার জুনিয়র অফিসার মো. আরফান উল্লাহ—ব্যাংকের বিরুদ্ধে একটি রেকর্ড ডিক্লারেশন মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের ব্যাখ্যা দিতে সমন জারি করেন।

মামলার আরজিতে বলা হয়, ইসলামী ব্যাংক চলতি বছরের আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে শ্রম আইন ও অভ্যন্তরীণ নীতিমালা লঙ্ঘন করে প্রায় পাঁচ হাজার স্থায়ী কর্মীকে বরখাস্ত করেছে। একই সঙ্গে ওই পদগুলোতে নতুন জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু করেছে, যা ‘স্বেচ্ছাচারী ও বেআইনি’।

আরও পড়ুন: টানা চার দফা পতনের পর সোনার দামে বড় লাফ

বাদীরা বরখাস্তের সিদ্ধান্ত বাতিল, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত, এবং বরখাস্তকৃত কর্মীদের বেতন-ভাতাসহ পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়েছেন। এছাড়া, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি আবেদন জানানো হয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুম জানান, আদালত ইসলামী ব্যাংকের শীর্ষ ব্যবস্থাপনা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে আদালতে হাজির হয়ে এই ‘গণবরখাস্ত’ এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সমনের নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

উল্লেখ্য, ইসলামী ব্যাংক আগামী ১ নভেম্বর ‘ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার’ ও ‘ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার (ক্যাশ)’ পদে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার কথা রয়েছে। আদালতের এই আদেশ এসেছে সেই পরীক্ষার মাত্র দুই দিন আগে।