বিদেশে পাচার অর্থ উদ্ধারে ৬৬,১৪৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ সংযুক্ত ও অবরুদ্ধ

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:১৫ পূর্বাহ্ন, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৯:১৫ পূর্বাহ্ন, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বিদেশে পাচার করা অর্থ উদ্ধারের উদ্যোগে দেশে ও বিদেশে মিলিয়ে ৬৬ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সংযুক্ত ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে দেশের ভেতরে রয়েছে ৫৫ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকার সম্পদ এবং বিদেশে ১০ হাজার ৫০৮ কোটি টাকার সম্পত্তি।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় সমন্বয় কমিটির সভা শেষে অর্থ মন্ত্রণালয় এসব তথ্য জানিয়েছে। মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে নীতিমালা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও সমন্বয় জোরদার করতেই এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন: ছেঁড়া ও পোড়া নোট বদলে টাকা ফেরতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নীতিমালা

সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বৈঠকে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ও সম্পদ উদ্ধার কার্যক্রম আরও কার্যকর করতে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর কয়েকটি ধারা যুগোপযোগী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বিদেশে পাচার করা অর্থ উদ্ধারের জন্য অগ্রাধিকারভিত্তিতে নির্ধারিত ১১টি মামলার অগ্রগতি নিয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এসব কেসের আওতায় ইতোমধ্যে ১০৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি মামলায় চার্জশিট দাখিল হয়েছে এবং ৪টি মামলার রায় দিয়েছেন আদালত।

আরও পড়ুন: সোনার দামে বড় লাফ, ভরি ছাড়াল ২ লাখ ১৭ হাজার

এছাড়া ১১টি অগ্রাধিকার কেসের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে মোট ২১টি এমএলএআর পাঠানো হয়েছে। সভায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে দ্রুত চার্জশিট দাখিল, এমএলএআর প্রেরণ এবং মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সভায় আরও জানানো হয়, মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান মূল্যায়নের লক্ষ্যে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানিলন্ডারিং (এপিজি) ২০২৭-২৮ মেয়াদে চতুর্থ পর্বের মিউচুয়াল ইভ্যালুয়েশন পরিচালনা করবে। এ মূল্যায়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থাকে আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সভায় দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।