ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রাব্বানীর প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণার সুপারিশ, হচ্ছে ভর্তি বাতিল

Sanchoy Biswas
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৯:৩৮ অপরাহ্ন, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৮:০১ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন-২০১৯ এ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর প্রার্থিতা বৈধ ছিল না বলে মন্তব্য করেছে তদন্ত কমিটি। তার এম.ফিল প্রোগ্রামে ভর্তি যথাযথ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন না হওয়ায় বৈধ ছাত্রত্ব না থাকায় নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতাও তিনি অর্জন করেননি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দীন আহমদ জানান, সিন্ডিকেটের সর্বশেষ সভায় গোলাম রাব্বানীর ভর্তি সাময়িকভাবে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য একাডেমিক কাউন্সিলে পাঠানো হয়েছে। একাডেমিক কাউন্সিল সিদ্ধান্ত দিলে তার প্রার্থিতা ও জিএস নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টিও বাতিল হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: ঢাবিতে স্নাতক ভর্তি আবেদন শুরু ২৯ অক্টোবর থেকে

এ সংক্রান্ত অভিযোগ করেন ডাকসু নির্বাচনে জিএস পদপ্রার্থী রাশেদ খান। ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি ও ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক সানাউল্লাহ হক অবৈধ ভর্তি, নির্বাচনে কারচুপি এবং ডাকসু ভবনে সংঘটিত হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেন।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন চলাকালে ভোট কারচুপি, কেন্দ্র দখল, কৃত্রিম লাইন সৃষ্টি, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোটে অংশগ্রহণে বাধা, ব্যালটে অবৈধ সিল মারা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মতো অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে আরও তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।

আরও পড়ুন: শিক্ষা ভবনের সামনে প্রস্তুত জলকামান ও সাঁজোয়া যান

এছাড়া প্রতিবেদনে ক্রিমিনোলজি বিভাগের তিনজন শিক্ষার্থী—গোলাম রাব্বানী, মেহজাবিন হক এবং ফাহমিদা তাসনিম অনির এম.ফিল প্রোগ্রামে ভর্তি প্রক্রিয়াকে অবৈধ ও জালিয়াতির মাধ্যমে সম্পন্ন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কমিটি মনে করছে, বৈধ ছাত্রত্ব না থাকায় গোলাম রাব্বানীর প্রার্থিতা বাতিলযোগ্য এবং তার জিএস নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টিও অবৈধ হিসেবে ঘোষণা করা উচিত।