রাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: ছাত্রশিবির

Any Akter
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৩:২৯ অপরাহ্ন, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১১:৫৮ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্যকোটা পুনর্বহাল ও শিক্ষক নিপীড়নের সাম্প্রতিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পরস্পরবিরোধী অবস্থানকে রাকসু নির্বাচন বানচালের “পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র” হিসেবে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পোষ্যকোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু রাকসু নির্বাচনের ঠিক আগে আবারও এ কোটা পুনর্বহাল করায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। এ প্রেক্ষাপটে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়, যা শেষে ধস্তাধস্তি ও শিক্ষক হেনস্তার ঘটনায় রূপ নেয়।

আরও পড়ুন: চাকসুতে পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে জনপ্রিয়তার শীর্ষে জাবেদ

ছাত্রশিবির নেতারা এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, “একটি গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে যৌক্তিক আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করছে। টায়ারে আগুন জ্বালানো, প্রো-ভিসিকে বাসভবনে প্রবেশে বাধা দেওয়া, কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা—এসব ঘটনার মাধ্যমে আন্দোলনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা হয়েছে। মূলত এটি রাকসু নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা।”

কোটা ব্যবস্থার বিরোধিতা তুলে ধরে শিবির নেতারা আরও বলেন, “মেধার বিকাশ ও শিক্ষায় সমতা প্রতিষ্ঠার পথে কোটাব্যবস্থা বড় অন্তরায়। ২০২৪ সালে শিক্ষার্থীদের রক্তের বিনিময়ে এ ব্যবস্থার অবসান ঘটানো হয়েছিল। অথচ আবারও পোষ্যকোটা ফিরিয়ে আনা জুলাইয়ের শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি অবমাননা।”

আরও পড়ুন: জুলাই পরবর্তী ছাত্ররাজনীতির মডেল ছাত্রশিবির : সাদিক কায়েম

তবে আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে সংগঠনের নেতারা বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পারস্পরিক হেনস্তা কোনোভাবেই আন্দোলনের ভাষা হতে পারে না। পাশাপাশি শিক্ষক হেনস্তার ঘটনায় ছাত্রশিবিরকে দায়ী করার অপচেষ্টারও তীব্র নিন্দা জানান তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, “৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচনের আয়োজন হতে যাচ্ছে, এমন সময়ে এই ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই স্বাভাবিক নয়। এটি যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া বানচালের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ, তা ইতোমধ্যে স্পষ্ট।”

ছাত্রশিবির দ্রুত একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত ও শাস্তির দাবি জানায়। একই সঙ্গে অযৌক্তিক পোষ্যকোটা বাতিল ও যথাসময়ে রাকসু নির্বাচনের আয়োজনের আহ্বান জানায় সংগঠনটি।