ডাকসু ব্যালট ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন ঢাবি উপাচার্য

Any Akter
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৪:০২ অপরাহ্ন, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১০:০০ অপরাহ্ন, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে ব্যালট পেপার মুদ্রণ ও সংরক্ষণে নানা অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। তিনি দাবি করেছেন, নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানায়নি দায়িত্বপ্রাপ্ত সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

আরও পড়ুন: চাকসুতে পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে জনপ্রিয়তার শীর্ষে জাবেদ

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। এ সময় উপাচার্য লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে একটি অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে ব্যালট পেপার মুদ্রণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে সময় ও পরিমাণগত চাহিদার কারণে মূল ভেন্ডরের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একই টেন্ডারের আওতায় একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে কাজের অংশীদার করা হয়।

আরও পড়ুন: জুলাই পরবর্তী ছাত্ররাজনীতির মডেল ছাত্রশিবির : সাদিক কায়েম

তিনি জানান, সহযোগী প্রতিষ্ঠান নীলক্ষেতে ২২ রিম কাগজে প্রায় ৮৮ হাজার ব্যালট ছাপায়। প্রিন্টিং, কাটিং ও প্রি-স্ক্যানসহ সব ধাপ শেষে ৮৬ হাজার ২৪৩টি ব্যালট সরবরাহযোগ্য করা হয় এবং অতিরিক্ত ব্যালট প্রচলিত নিয়মে ধ্বংস করা হয়। তবে প্রতিষ্ঠানটি ব্যস্ততার কারণে নীলক্ষেতে প্রিন্টিংয়ের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানাতে ভুলে যায় বলে উপাচার্য জানান।

অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ব্যালট কোথায় ছাপানো হয়েছে তা নির্বাচনের সার্বিক নিরপেক্ষতায় প্রভাব ফেলে না। কারণ, ব্যালট চূড়ান্তভাবে ভোটগ্রহণের উপযোগী করতে কাটিং, সিকিউরিটি কোড, ওএমআর প্রি-স্ক্যান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সিল ও স্বাক্ষরসহ একাধিক ধাপ অতিক্রম করতে হয়। এসব ধাপ শেষে সম্পূর্ণ সতর্কতার সঙ্গে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

উপাচার্যের দেওয়া তথ্যমতে, মোট ২ লাখ ৩৯ হাজার ২৪৪টি ব্যালট প্রস্তুত করা হয়বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন, প্রত্যেকের জন্য ছয়টি করে ব্যালট নির্ধারিত হয়। ভোট দিয়েছেন ২৯ হাজার ৮২১ জন, ব্যবহার হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯২৬টি ব্যালট, অবশিষ্ট ছিল ৬০ হাজার ৩১৮টি।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিসিটিভি ফুটেজ ও ভোটার তালিকা প্রকাশের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, কোনও প্রার্থী যদি নির্দিষ্ট সময় বা ঘটনার ফুটেজ দেখতে চান, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় আবেদন করলে বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে তা পর্যালোচনা করা যাবে। একইভাবে, ভোটারদের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দেখার ক্ষেত্রেও আইনজীবীদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রার্থীরা যুক্তিযুক্ত কারণ দেখিয়ে আনুষ্ঠানিক আবেদন করলে তা পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।