সিটি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের কাছে ৩০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি
সাভারে ২ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে জোরপূর্বক মিথ্যা জবানবন্দি নেওয়া ও সিটি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের ৩০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আর কবির। এ সময় সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন—উল্লেখ করে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান উপাচার্য।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে তামাক বিক্রি করলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য বলেন, শুধু গাড়ি পোড়ানো আর ভাঙচুর নয়, শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের জন্যও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সিটি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষকে।
‘বর্তমানে ৬ জন শিক্ষার্থী আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইউজিসি বিষয়টি যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করছি,’ যোগ করেন ড. এম আর কবির।
আরও পড়ুন: প্রকাশ হলো ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা
তিনি বলেন, সিটি ইউনিভার্সিটি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা জড়িত কিনা তা তদন্তে প্রমাণ হবে। এজন্য ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন।
এর আগে গতকাল সোমবার (২৭ অক্টোবর) সিটি ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে সিটি ইউনিভার্সিটির গাড়িতে অগ্নিকাণ্ড, বিশ্ববিদ্যালয়ের আসবাবপত্র ভাঙচুরের অভিযোগ এনে ৩০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কাছে। এ সময় তাদের কাছে আটক থাকা ১১ শিক্ষার্থীকে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান সিটি ইউনিভার্সিটির প্রক্টর শেখ মুহাম্মদ আলিয়ার।
তিনি বলেন, ‘আমরা তো আর তাদের আটকে রাখিনি। তারা এখানে ঘুরে ফিরেই বেড়াচ্ছিলেন। কিন্তু যেহেতু তারা অনেকটা আটকা পড়ে গিয়েছিলেন, আর রাত ছিল, তাই আমরা মূলত তাদের সেইফ করার চেষ্টা করেছি। কারণ কেউ যেন তাদের আঘাত করতে না পারেন, এজন্য তাদের একটা নিরাপত্তার মধ্যে আমরা রেখেছিলাম।’
গত রোববার (২৬ অক্টোবর) রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় কমপক্ষে উভয় পক্ষের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।





