সাত কলেজ নিয়ে যা জানাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নিয়ে বিভ্রান্তিকর গুজব বা অসম্পূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে বিভ্রান্তি ও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি না করার জন্য শিক্ষকদের পেশাদারিত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন এবং সামগ্রিক শিক্ষা কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয়, তা নিশ্চিত করতে সবাইকে সচেতন থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস পালিত
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে দেশের উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অভিভাবকসহ সকল অংশগ্রহণকারীর স্বার্থ রক্ষা এবং দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে ইতিবাচক একাডেমিক পরিবেশ গড়ে তোলাই বিভাগের প্রধান লক্ষ্য।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, খসড়া অধ্যাদেশটি সম্প্রতি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সুধীজনসহ পাঁচ হাজারেরও বেশি মতামত পাওয়া গেছে। এর পাশাপাশি তিনটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের মতামত সংগ্রহও সম্পন্ন হয়েছে। প্রাপ্ত মতামত আইনগত ও বাস্তবতার প্রেক্ষিতে পর্যালোচনা করে খসড়া পরিমার্জন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগে নতুন নির্দেশনা প্রকাশ
অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন, সাত কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চলছে, যাতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বিঘ্নিত না হয়। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি, রেজিস্ট্রেশন ও ক্লাস পরিচালনার বিষয়ে নভেম্বর ২০২৫-এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ১০,১৯৪ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে, যাদের মধ্যে ৯,৩৮৮ জনের ভর্তি নিশ্চিত হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে, সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় অধ্যাদেশের খসড়া পরিমার্জন শেষে ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫-এ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা সম্ভব হবে। পরবর্তী সময়ে ক্লাস শুরু করা হবে ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে, যাতে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রমে কোনো বিঘ্ন না ঘটে।
মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করেছে, কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য, নারী শিক্ষার সুযোগ, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সংরক্ষণ এবং বিদ্যমান উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত না করার বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে খসড়া অধ্যাদেশ তৈরি করা হচ্ছে।





