রুশ সেনা হটিয়ে ইউক্রেন দখলে নিল গুরুত্বপূর্ণ এলাকা

বাংলাবাজার পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | আপডেট: ৫:২৫ পূর্বাহ্ন, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রুশ সেনাদের হটিয়ে দেশের পূর্বাঞ্চলে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রাম দখলে নেওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেন।

দেশটি বলেছে, পূর্বাঞ্চলীয় ফ্রন্টলাইনের অন্যতম প্রধান গ্রাম ক্লিশচিভকা পুনরায় দখল করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ ১০৫ ফিলিস্তিনি নিহত, খাদ্য সংকট ও নাগরিক হত্যাযজ্ঞ বৃদ্ধি

বাখমুতের দক্ষিণে অবস্থিত এই গ্রামটি কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে পালটা আক্রমণও চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন।  

সোমবার এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অবশ্য যুদ্ধক্ষেত্রে এ ধরনের বিজয় বা সাফল্য অর্জন ইউক্রেনের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং সেখানে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি কিয়েভের জন্য সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালাবেন।

আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ফের ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা

মূলত ইউক্রেনের জন্য আরও সমর্থন জোগাড় করার ক্ষেত্রে পশ্চিমা সহায়তায় পুষ্ট ইউক্রেনীয় বাহিনীর পালটা আক্রমণে যে সফলতা আসছে, সেটি দেখানো কিয়েভের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্য ইউক্রেনের এই অগ্রগতি এমন সময়ে এসেছে যখন দুই সিনিয়র পশ্চিমা ব্যক্তিত্ব চলমান সংঘাতের দ্রুত সমাপ্তির আশা করার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর স্থল বাহিনীর কমান্ডার ওলেক্সান্ডার সিরস্কি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন, ‘ক্লিশচিভকাকে রাশিয়ানদের থেকে মুক্ত করা হয়েছে।’

এদিকে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বাখমুতের কাছে যুদ্ধরত সৈন্যদের প্রশংসা করেছেন এবং যারা রাশিয়াকে হটিয়ে ক্লিশচিভকাকে পুনরুদ্ধারের কাজে যুক্ত ছিল তাদেরও আলাদা করে সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রশংসা করেন।

জেলেনস্কি আরও বলেন, কিয়েভ ‘ইউক্রেনের জন্য নতুন প্রতিরক্ষা সমাধান প্রস্তুত করছে’। এই বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আকাশ প্রতিরক্ষা এবং আর্টিলারি এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার হিসেবে থাকবে’।

এএফপি বলছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী আক্রমণ শুরু করার আগে ক্লিশচিভকা গ্রামটি কয়েকশ লোকের আবাসস্থল ছিল। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে রাশিয়ান সৈন্যরা এ এলাকাটি দখল করে নেয়।

পূর্বাঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাদের মুখপাত্র ইলিয়া ইয়েভলাশ বলেছেন, ক্লিশচিভকা গ্রামের ওপর নিয়ন্ত্রণ ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ আরেক শহর বাখমুত ঘেরাও করতে সহায়তা করতে পারে। মূলত দীর্ঘ এবং রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর গত মে মাসে রাশিয়ান বাহিনী বাখমুত দখল করে নিয়েছিল।

এ ছাড়া এই গ্রামটি দখলের ফলে ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ান বাহিনীর দিকে আরও সহজে অগ্রসর হতে এবং আরও ভালোভাবে গোলাবর্ষণ করতে পারবে বলেও জানান তিনি।