ইসরায়েল বাহিনী গাজার ১৬২টি শিক্ষাকেন্দ্রে গোলা ছুড়েছে: জাতিসংঘ

বাংলাবাজার পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১৫ পূর্বাহ্ন, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | আপডেট: ৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অন্তত ১৬২টি বিদ্যালয় ভবনে সরাসরি বোমা মেরে আঘাত হেনেছে ইসরায়েল বাহিনী। 

মঙ্গলবার এক বিশ্লেষণের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে দুই বাংলাদেশির বিরুদ্ধে মামলা, হতে পারে ৩০ বছরের কারাদণ্ড

গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শিক্ষা নিয়ে কাজ করা কয়েকটি সংস্থা গাজায় বিদ্যালয়গুলোর ক্ষতির মূল্যায়ন করতে স্যাটেলাইটের চিত্র বিশ্লেষণ করেছে। তাদের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ইসরায়েলের সরাসরি গোলার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজার ১৬২টি বিদ্যালয় ভবন, যা গাজার মোট বিদ্যালয়ের ৩০ শতাংশ। ওই অঞ্চলে মোট বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫৬৩টি, যার ২৬ টি তেল আবিবের বোমার আঘাতে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

স্টিফেন ডুজারিক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের এসব হামলায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে গাজার এক লাখ ৭৫ হাজার ছাত্র এবং ৬৫ হাজার শিক্ষক। এছাড়া ওই অঞ্চলের প্রায় ৫৫ শতাংশ বিদ্যালয় নতুন করে পুনর্গঠনের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: ইউক্রেন চুক্তি নিয়ে পুতিনের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ট্রাম্প, জেলেনস্কির উপস্থিতি নিয়ে নতুন তথ্য

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছে ২৮ হাজার ৪৭৩ ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৬৮ হাজার ১৪৬ জন।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছে। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনও ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে। প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এ অঞ্চলে প্রবেশ।