ইরাকে শপিং মলে আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯

ইরাকের আল-কুত শহরের একটি শপিং মলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানি আরও বেড়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইএনএ। আগুন লাগার পর থেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে রাতভর অভিযান চালিয়েছে উদ্ধারকর্মীরা। খবর রয়টার্সের।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) প্রাদেশিক গভর্নরের বরাত দিয়ে আইএনএ জানায়, আগুনে দগ্ধ হয়ে অন্তত ৬৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ঘটনার পর হাসপাতাল ও মর্গে স্বজনদের খোঁজে ভিড় করছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন চুক্তি নিয়ে পুতিনের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ট্রাম্প, জেলেনস্কির উপস্থিতি নিয়ে নতুন তথ্য
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, শহরের একটি পাঁচতলা ভবনে আগুন জ্বলছে এবং অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই ভিডিওগুলোর সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, বুধবার রাতে শপিং মলটির প্রথম তলায় একটি এয়ার কন্ডিশনার বিস্ফোরণ থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তেই তা পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। ভবনটিতে থাকা অনেকেই সময়মতো বের হতে না পারায় হতাহতের সংখ্যা এতোটা বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের অভিযানে অংশ নেওয়া পাইলটদের সর্বোচ্চ সামরিক পদক দিলো পাকিস্তান
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৪৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে ধ্বংসস্তূপে আরও কেউ আটকে রয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত হতে উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে। ফরেনসিক বিভাগের কর্মকর্তারা আগুনে পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ শনাক্তে কাজ করছেন।
৫১ বছর বয়সী আলী কাজিম রয়টার্সকে জানান, এই ঘটনায় তার চাচাতো ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী ও তিন সন্তান নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি হাসপাতাল ও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ছুটে বেড়াচ্ছেন তাদের খোঁজে।
এর আগে বুধবার মধ্যরাতে ঘটনার পরপরই মৃতের সংখ্যা ছিল ৫০ জন। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজে আরও মৃতদেহ মিলতে থাকায় সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৯-এ। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় আল-কুত শহরজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
স্থানীয় প্রশাসন আগুন লাগার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে। ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটি কিংবা অবহেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।