বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি নতুন লোকোমোটিভ দিচ্ছে চীন

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:৩৪ অপরাহ্ন, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২:৩৪ অপরাহ্ন, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ রেলওয়ের (বিআর) জন্য ২০টি মিটারগেজ (এমজি) লোকোমোটিভ কেনায় সহায়তা হিসেবে ১২৯ কোটি ৫৪ লাখ ডলার (প্রায় ১ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা) অনুদান দিচ্ছে চীন। দীর্ঘদিন ধরে পুরোনো ইঞ্জিনের কারণে যে সংকট চলছে, তা নিরসনে এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন রেল কর্মকর্তারা।

রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘চায়না গ্রান্টের আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রস্তাব ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবের (পিডিপিপি) অনুমোদন প্রক্রিয়া দ্রুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া গাজায় শান্তি আসবে না: রাশিয়া

প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা দেবে চীন এবং বাকি ৪৪ কোটি টাকা আসবে সরকারি তহবিল থেকে। প্রকল্পটি ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২০২৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এর আওতায় ২০টি লোকোমোটিভ ছাড়াও খুচরা যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি এবং বাংলাদেশি প্রকৌশলী ও মেকানিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে, যাতে প্রযুক্তি ও জ্ঞানের স্থানান্তর নিশ্চিত হয়।

আরও পড়ুন: ‘আমরা কসাইখানায় ছিলাম, কারাগারে নয়’

বর্তমানে রেলওয়ের বহরে ৩০৬টি লোকোমোটিভ থাকলেও তার মধ্যে ১২৪টি এমজি লোকোমোটিভ নকশাগত আয়ুষ্কাল পার করেছে। এর বেশিরভাগ ইঞ্জিন ৩০-৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে ঘন ঘন বিকল হওয়া, রক্ষণাবেক্ষণের বাড়তি খরচ এবং যন্ত্রাংশের সংকটে রেলওয়ে কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

রেল কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন লোকোমোটিভ এলে যাত্রী ও মালবাহী পরিবহন আরও সহজ হবে, রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কমবে এবং সেবার মান বাড়বে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বহরের দুই-তৃতীয়াংশ ইঞ্জিন আয়ুষ্কাল পার করে ফেলায় দীর্ঘমেয়াদে আরও বড় বিনিয়োগ প্রয়োজন।