সুমুদ ফ্লোটিলা বহরের দুই জাহাজ ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েল

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২২ অপরাহ্ন, ০১ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১০:২২ অপরাহ্ন, ০১ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ত্রাণ বহনকারী আন্তর্জাতিক জাহাজের বহর সুমুদ ফ্লোটিলা অভিযোগ করেছে, গাজা উপকূলের কাছে পৌঁছালে ইসরায়েলি নৌযানগুলো তাদের ওপর বিপজ্জনক ও ভীতিকর আচরণ করছে।

বুধবার (১ অক্টোবর) যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা থেকে ১১৮ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থানকালে ফ্লোটিলা জানায়, ইসরায়েল তাদের জাহাজ ডুবিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে।

আরও পড়ুন: অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন যে তিন জন

আয়োজকরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের দুটি যুদ্ধজাহাজ দ্রুতগতিতে এসে বহরের দুটি জাহাজ আলমা ও সিরিয়াসকে ঘিরে ফেলে। এ সময় নেভিগেশন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে যায়।

জাহাজে অবস্থানরত আয়োজক থিয়াগো আভিলা বলেন, এটি আসলে ইসরায়েলি সেনাদের সাইবার হামলা।

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি বন্দিদের নিয়ে পশ্চিম তীর ও গাজায় পৌঁছেছে কয়েকটি বাস

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নামে পরিচিত এই বহরে রয়েছে ৪০টিরও বেশি বেসামরিক নৌকা, যেখানে প্রায় ৫০০ জন আন্তর্জাতিক কর্মী অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে সংসদ সদস্য, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী এবং সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন।

গত কয়েক দিনে বহরের ওপর বারবার ড্রোন হামলা চালানো হয়। ড্রোন থেকে স্টান গ্রেনেড ও চুলকানি সৃষ্টিকারী গুঁড়া নিক্ষেপ করা হয়, তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ইসরায়েল আগেই জানিয়েছে, গাজার নৌ অবরোধ বৈধ এবং বহর ঠেকাতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে। তবে এ বিষয়ে তাদের সামরিক বাহিনী কোনো সরাসরি মন্তব্য করেনি।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি অধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ফ্রান্সেসকা আলবানিজ বলেছেন, বহর আটকানো হলে তা আন্তর্জাতিক আইন ও সমুদ্র আইনের লঙ্ঘন হবে, কারণ গাজার জলসীমায় ইসরায়েলের আইনি এখতিয়ার নেই।

ইতালি, স্পেন ও তুরস্ক নৌবহরটির ওপর নজরদারি করছে, তবে সামরিক সংঘাতে জড়াবে না বলে জানিয়েছে।

২০০৭ সাল থেকে হামাসের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর গাজায় ইসরায়েল নৌ অবরোধ চালিয়ে আসছে। এর আগে বহুবার সাহায্য পৌঁছানোর প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ২০১০ সালের এক অভিযানে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছিলেন।