গাজায় পৌঁছানোর আগেই ফ্লোটিলার যাত্রা শেষ: ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় খাদ্য ও ওষুধ নিয়ে যাচ্ছিল গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। প্রায় ৪৫টি জাহাজে ৫০০ অধিকারকর্মী, রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যরা ছিলেন। তবে দখলদার ইসরায়েলের নৌ কমান্ডোরা বুধবার (১ অক্টোবর) রাত থেকে এসব জাহাজ আটকাতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,
আরও পড়ুন: অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন যে তিন জন
হামাস-ফ্লোটিলার উস্কানিমূলক জাহাজ সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ অথবা নৌ অবরোধ ভাঙতে পারেনি। জাহাজের সব যাত্রী নিরাপদ ও সুস্থ আছেন। তাদের ইসরায়েলে নেওয়া হচ্ছে, পরে ইউরোপে পাঠানো হবে।
মন্ত্রণালয় জানায়, ৩৯টি জাহাজ আটক করা হয়েছে। একটি জাহাজ এখনো সমুদ্রে আছে, তবে কারিগরি ত্রুটির কারণে সেটি গাজার দিকে যেতে পারেনি। প্রয়োজনে এটিও আটক করা হবে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি বন্দিদের নিয়ে পশ্চিম তীর ও গাজায় পৌঁছেছে কয়েকটি বাস
ফ্লোটিলা আয়োজকরা জানিয়েছেন, অন্তত একটি জাহাজ গাজার জলসীমায় প্রবেশ করেছিল। তবে ইসরায়েল দাবি করেছে, লাইভ ট্র্যাকার ত্রুটির কারণে এমনটা দেখিয়েছে। বিষয়টির সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
গত মাসে স্পেন থেকে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে আন্তর্জাতিক এই নৌবহর। এতে বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্য, আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীদের পাশাপাশি সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন।
২০০৭ সাল থেকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল কঠোর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে। জাতিসংঘ বলছে, চলমান যুদ্ধে গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নৌবহরটি যাত্রা করেছিল।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল