গাজার যেসব এলাকা ইসরায়েলি সেনাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে

যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় চুক্তির প্রথম ধাপে গাজার কিছু অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা থাকলেও, ইসরায়েলি বাহিনী এখনো উপত্যকার বড় অংশে অবস্থান বজায় রাখবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
ইসরায়েলি মুখপাত্র শোশ বেডরোসিয়ান জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজার প্রায় ৫৩ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন ট্রাম্প
যদিও তিনি মানচিত্র প্রকাশ করেননি, যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস সম্প্রতি দুটি মানচিত্র শেয়ার করেছে যেখানে গাজায় একটি হলুদ সীমারেখা দিয়ে আইডিএফের প্রাথমিক প্রত্যাহার অবস্থান দেখানো হয়েছে।
বিবিসি ভেরিফাইয়ের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ইসরায়েলের প্রথম ধাপের এই সেনা প্রত্যাহার মূলত গত এক মাসে গাজা সিটিতে তাদের করা অগ্রগতি প্রত্যাহার করবে, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল এখনও নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
আরও পড়ুন: গাজায় প্রথম দফায় মুক্তি পেলেন যারা
নিয়ন্ত্রণে থাকবে যে সব অঞ্চল
শেজায়িয়া এলাকা: ইসরায়েল গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলীয় এই পাড়া অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে।
নেতজারিম করিডর: গাজার কেন্দ্র দিয়ে তৈরি এই সামরিক সড়কটি উত্তর ও দক্ষিণ গাজার সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার মূল মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আইডিএফ এখানে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অংশে অবস্থান করবে।
মোরাগ করিডর: রাফা ও খান ইউনুসের মধ্যে অবস্থিত এই করিডর আগের মতোই সামরিকভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
মাগিন ওজ অক্ষ: খান ইউনুস শহরকে পূর্ব-পশ্চিমে বিভাজিত করা এই করিডরেও ইসরায়েলি বাহিনীর উপস্থিতি বজায় থাকবে।
এই করিডর ও সামরিক অংশগুলো গাজার দক্ষিণে ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণের সীমা নির্ধারণ করছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে দক্ষিণ গাজা থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো সেনা প্রত্যাহার আপাতত হবে না।