গাজায় প্রথম দফায় মুক্তি পেলেন যারা

গাজায় ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিবিসির লাইভ প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামাসের কাছে আটক থাকা জিম্মিদের মধ্যে প্রথম দফায় ৭ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রেড ক্রসের হাতে জিম্মিদের হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) কাছে তাদের তুলে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় আসছেন ড. জাকির নায়েক
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, হামাস ইতোমধ্যেই মুক্তিপ্রাপ্তদের রেড ক্রসের হাতে হস্তান্তর করেছে। এক জিম্মির বাবা বলেন, ১৫ মিনিটের মধ্যেই তাদের আইডিএফের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং এরপর তারা ইসরায়েলে পৌঁছাবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজা যুদ্ধ সংক্রান্ত সাম্প্রতিক সমঝোতা চুক্তির আওতায় হামাস মোট ৪৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে, যাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে বিজয় দাবি করল ইসরায়েল
প্রথম দফায় যাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন:
অ্যারিয়েল কুনিও ও তার ভাই ডেভিড কুনিও ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর অপহৃত হয়েছিলেন।
এভিয়াটার ডেভিড নোভা উৎসব থেকে অপহৃত।
গালি ও জিভ বারম্যান ২৮ বছর বয়সী দুই জমজ ভাই; কিবুৎয কেফার আজা থেকে অপহৃত।
ওমরি মিরান বর্তমানে জীবিত জিম্মিদের মধ্যে সবচেয়ে প্রবীণ, বয়স ৪৮ বছর।
অন্য জিম্মিদের মধ্যে রয়েছেন: মাতান আংরেস্ট (২২), মাতান জানগৌকার (২৫), নিমরদ কোহেন (২১), গাই গিলবোয়া ডালাল (২৪), ইয়োসেফ চাইম ওহানা (২৫), এলকানা বহবত (৩৬), আভিনাতান ওর (৩২), এইতান ওর (২৫), বার কুপারশটেইন (২৩), সেগেভ কালফন (২৭)এবং রম ব্রাসলাভস্কি (২১)।
এই মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এমন এক সময়ে, যখন গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর রয়েছে এবং বন্দী বিনিময়ের অংশ হিসেবে শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথাও আলোচনা চলছে।