অর্থনীতি নিয়ে স্বস্তিতে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ

দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, “অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আমি স্বস্তিতে আছি, সে জন্য আমরা মোটামুটি আত্মবিশ্বাসী।”
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিচারকদেরও জবাবদিহিতা থাকা উচিত: ট্রাইব্যুনালের অভিমত
সকালে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার বেড়েছে— এমন মন্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি এখন তাত্ত্বিক আলোচনায় যাব না। দারিদ্র্য বেড়েছে কি না— সেটা বলার জন্য বিস্তারিত বিশ্লেষণ প্রয়োজন। আমি জানি তারা কীভাবে দারিদ্র্য পরিমাপ করে; তাদের বেজ ও ক্লায়েন্ট আছে।”
অর্থনীতি স্বস্তিতে আছে কি না— এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, “অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আমি স্বস্তিতে আছি। সে জন্য আমরা মোটামুটি কনফিডেন্ট। অন্য বিষয়গুলো নিয়ে আমি এখন কিছু বলতে পারব না।”
আরও পড়ুন: রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
আমেরিকার শুল্কনীতির প্রভাব নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “শুল্ক ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে। যে সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটি বাস্তবে তেমন প্রভাব ফেলবে না। কারণ, আমরা ইতোমধ্যে প্রায় চার বিলিয়ন ডলারের দায় পরিশোধ করেছি।”
নতুন পে-স্কেল চালুর সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “ওটা আমি পরে দেখব। যাওয়ার আগে একসময় এ বিষয়ে বলব।”
চীন থেকে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ২০টি যুদ্ধজাহাজ কেনার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সেটা নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।” সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্নে তিনি যোগ করেন, “সব জানলেই কি সব বলতে হবে?”
ফাইটার জাহাজ কেনার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, “ওটা ওদের বিষয়। ওরা মূল্যায়ন করে যা করছে, আমরা সেই প্রক্রিয়ার ভেতরে নেই। আমি শুধু অর্থের সংস্থান দেখি।”
ওয়াশিংটনে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আসন্ন বৈঠক নিয়ে তিনি বলেন, “আইএমএফের পাইপলাইনে আরও কিছু অর্থ রয়েছে। এডিবি, এআইআইবি ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে চলমান প্রতিশ্রুতিগুলোর অগ্রগতি নিয়েই এবার আলোচনা হবে। দুটি নতুন চুক্তি সই হবে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে। এবারের বৈঠক মূলত ফলোআপ— নতুন কোনো বড় নেগোসিয়েশন নয়।”
তিনি আরও বলেন, “নতুন সরকার আসার পর বড় সিদ্ধান্তগুলো তারা নেবে। আমরা এখন কেবল চলমান বিষয়গুলো তদারকি করছি।”