১৯ দেশের অভিবাসন আবেদন সাময়িক স্থগিত করল ট্রাম্প প্রশাসন
জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে ইউরোপের বাইরে থাকা ১৯টি দেশের সব ধরনের অভিবাসন আবেদন গ্রহণ অস্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন। সাম্প্রতিক কয়েকটি নিরাপত্তা-সংকটের ঘটনার পরই এ কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
যেসব দেশের নাগরিকরা আগে থেকেই আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিলেন, নতুন সিদ্ধান্তে তাদের ওপর আরও কঠোর বিধিনিষেধ যুক্ত হলো। তালিকায় আফগানিস্তান, সোমালিয়া, ইরান ও সুদানের মতো দেশ রয়েছে।
আরও পড়ুন: 'ফিফা শান্তি পুরস্কার’ পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
সরকারি স্মারকে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে মার্কিন ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় আফগানিস্তানের এক নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই হামলায় এক গার্ড সদস্য নিহত ও আরেকজন গুরুতর আহত হন। প্রশাসনের দাবি—এ ধরনের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন প্রক্রিয়ায় কঠোরতা আনার প্রয়োজনীয়তাকে আরও স্পষ্ট করেছে।
সম্প্রতি সোমালি নাগরিকদের বিরুদ্ধে তীব্র অবস্থানও জানান ট্রাম্প। তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন—“আমরা তাদের আমাদের দেশে চাই না।” দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই তিনি অভিবাসননীতিতে আগ্রাসী পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বড় শহরগুলোতে ফেডারেল এজেন্ট মোতায়েন করা এবং মেক্সিকো সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা এরই অংশ।
আরও পড়ুন: ডনবাস ইস্যুতে কোনো ছাড় নয়, কঠোর অবস্থানে পুতিন
অবৈধ অভিবাসন দমন থেকে এবার প্রশাসন বৈধ অভিবাসন কাঠামোতেও সীমাবদ্ধতা আরোপে মনোযোগী বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তাদের ভাষায়, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শিথিল নীতির কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে—এ যুক্তি দেখিয়েই নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
বুধবার প্রকাশিত স্মারকে যেসব দেশকে লক্ষ্য করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়াটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেন—যাদের বিরুদ্ধে এর আগেই কঠোর বা পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা ছিল।
এ ছাড়া বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা—যারা আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ছিলেন—এবার তাদের অভিবাসন আবেদনও সম্পূর্ণ স্থগিত করা হলো।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এসব দেশের প্রতিটি আবেদন পুনঃপর্যালোচনা করা হবে, প্রয়োজনে সাক্ষাৎকার বা পুনঃসাক্ষাৎকারও নেওয়া হবে। অভিবাসীদের সঙ্গে জড়িত সাম্প্রতিক অপরাধঘটনাগুলোকেও সিদ্ধান্তের অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে প্রশাসন।





