মানবতাবিরোধী অপরাধ
মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেলেন আ.লীগ নেতা মোবারক

মোবারক হোসেন ২০১২ সাল পর্যন্ত আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তবে এর আগে তিনি জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা মোবারক হোসেনকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আরও পড়ুন: সেনানিবাসের বাড়ি সাবজেল ঘোষণা প্রসঙ্গে ঢিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম
বুধবার (৩০ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে মোবারকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ইমরান এ সিদ্দিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম।
আরও পড়ুন: সাবেক সিএমএম রেজাউল করিম চৌধুরী সাময়িক বরখাস্ত
২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মোবারক হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ট্রাইব্যুনাল এই রায় দিয়েছিলেন।
তাঁর বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দুটি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে আখাউড়া থানার টানমান্দাইল ও জাঙ্গাইল গ্রামে ৩৩ জনকে হত্যার অভিযোগে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছাতিয়ান গ্রামের আব্দুল খালেককে হত্যার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
বাকি তিনটি অভিযোগ—আনন্দময়ী কালীবাড়ি রাজাকার ক্যাম্পে আশুরঞ্জন দেবকে নির্যাতন, শ্যামপুর গ্রামে দুজনকে অপহরণ করে একজনকে হত্যা এবং খরমপুর গ্রামে একজনকে আটক রেখে নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সেগুলো থেকে মোবারক খালাস পান।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ১৮ ডিসেম্বর মোবারক সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করেন। মামলার আপিল আবেদনটি ৮২ পৃষ্ঠার হলেও সংযুক্ত দলিলসহ মোট পৃষ্ঠাসংখ্যা ছিল ৮৬২।
মোবারক হোসেন ২০১২ সাল পর্যন্ত আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তবে এর আগে তিনি জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।