দুবছর পর 'হায় হোসেন' মাতমে হোসেনি দালান থেকে বের হল তাজিয়া মিছিল

Shakil
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১:৩৫ অপরাহ্ন, ০৯ অগাস্ট ২০২২ | আপডেট: ৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, ০৯ অগাস্ট ২০২২
তাজিয়া মিছিল
তাজিয়া মিছিল

মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, ঐতিহাসিক ও শোকাবহ আশুরা আজ। সৃষ্টির শুরু থেকেই আল্লাহতায়ালা এ দিনকে বিশেষ মর্যাদাময় করেছেন। এ জন্য আশুরার দিনে এমনসব ঐতিহাসিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যা অন্য কোনো দিনে একীভূত হয়নি। ইসলামপূর্ব যুগে ইহুদি ও খ্রিস্টানদের পাশাপাশি মক্কার মুশরিকরাও আশুরার দিনকে বিশেষভাবে সম্মান করত। আশুরার মূল চেতনা সত্য-মিথ্যার লড়াইয়ের, যাবতীয় জুলুমের বিরুদ্ধে জাগরণের।

মহররমের ১০ তারিখে ইমাম হোসেন (রা.) কারবালার ময়দানে শহীদ হয়েছেন। মুসলমানদের মধ্যে শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন ইমাম হোসেন (রা.) এর শোক স্মরণে রাস্তায় ঘুরে মিছিল বা মাতম করে।

আরও পড়ুন: এমন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে, যেখানে মানুষের অধিকার কখনো ক্ষুণ্ণ হবে না: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

রাজধানীর ইমামবাড়া হোসেনী দালান থেকে প্রতিবছরের মতো এবারও শিয়া মুসলমানরা তাজিয়া মিছিল শুরু করেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাজধানীর হোসেনি দালান থেকে এ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি আজিমপুর-নিউমার্কেট হয়েছে ধানমন্ডি লেকে গিয়ে শেষ হবে। তাজিয়া মিছিল শুরুর আগে মহড়া দিয়েছেন শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন। 

সরেজমিন দেখা যায়, মিছিলে উপস্থিত বেশিরভাগই কালো পাঞ্জাবি পরে ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ মাতম করছে। বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারও দেখা গেছে মিছিলে। মূল আয়োজনের রয়েছে হোসেনি দালান ইমামবাড়া ব্যবস্থাপনা কমিটি।

আরও পড়ুন: মেধা পাচার রোধে 'ট্যালেন্ট হান্ট পুল' গঠন এডুকেশন রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ

এদিকে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাজধানীর হোসেনি দালান ইমামবাড়া, বড় কাটারা ইমামবাড়া এবং এর আশেপাশের শিয়া সম্প্রদায় কেন্দ্রিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও ঐতিহ্যবাহী তাজিয়া (শোক) মিছিলকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আর এই নিরাপত্তা জোরদারে কাজ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সতর্কাবস্থানে রয়েছেন। নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন র‌্যাব সদস্যরাও। অন্যদিকে, সুষ্ঠুভাবে তাজিয়া মিছিল সম্পন্ন করতে দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি বহন নিষিদ্ধ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একই সঙ্গে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে পুলিশ ও র‌্যাব।