অটোরিকশা চালকদের ৪ মামলায় আসামি ২৫০০

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:৪৭ অপরাহ্ন, ২০ মে ২০২৪ | আপডেট: ৩:১১ পূর্বাহ্ন, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ করার প্রতিবাদে গতকাল রোববার (১৯ মে) রাজধানীর মিরপুরে দিনভর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে চালকরা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা কালশী মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের একটি বক্স পুড়িয়ে দেন, ভাঙচুর করেন অন্তত ১০টি যানবাহন। এসব অভিযোগে আন্দোলনরত অটোরিকশা চালকদের বিরুদ্ধে তিন থানায় চারটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

সোমবার (২০ মে) বিষয়টি নিশ্চিত গণমাধ্যমকে করেন মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, রোববার রাতে মিরপুরের পল্লবী থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়। একটি মামলা পল্লবী থানা পুলিশ ও আরেকটি মামলা পল্লবী ট্রাফিক জোন থেকে দায়ের করা হয়। 

আরও পড়ুন: সিএমপির সাংবাদিক নির্যাতন: ঘুসি আকবরের পর ডিসি আমিরুল

অন্যদিকে কাফরুল থানা ও মিরপুর মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। গতকাল দিনভর আন্দোলন অবরোধের নামে পুলিশের কাজে বাধা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, নাশকতা ও পুলিশের ওপরে হামলার ঘটনায় এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রায় দেড় হাজারের বেশি অটো রিকশা চালককে। এসব মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।  

এদিকে পল্লবী থানায় দায়ের করা মামলা দুটির নথিতে দেখা যায় সেখানে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে ১০০০ থেকে ১২০০ জনকে। অন্যদিকে একই থানায় ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনাল টিমের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলার বাদী সার্জেন্ট মিন্টু চন্দ্র দে। এতে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে।

আরও পড়ুন: ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা

পল্লবী থানার ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, পল্লবী থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। মিরপুর মডেল থানার ওসি মুন্সির সাব্বির আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, দায়ের করা মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

কাফরুল থানার ওসি ফারুকুল আলম জানান, কাফরুল থানায় দায়ের করা মামলায় ৬০০/৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১২ জনকে। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, নাশকতা পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা, ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত।