আশুলিয়ায় বেতন বৃদ্ধির দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ৫১টি কারখানা বন্ধ

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:৪৮ অপরাহ্ন, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১:২০ অপরাহ্ন, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

আশুলিয়ায় বেতন বৃদ্ধিসহ নানা দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা, যার ফলে শিল্পাঞ্চলের ৫১টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। শ্রমিকদের এই আন্দোলনের ফলে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠলেও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানাগুলোর সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম কারখানা বন্ধের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ, শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়া-ডিইপিজেড-নবীনগর মহাসড়কের নরসিংহপুর এলাকায় 'জেনারেশন নেক্সট' পোশাক কারখানার সামনে কয়েক শতাধিক শ্রমিক সড়ক অবরোধ করেন।

আরও পড়ুন: ১৫ আগস্ট ঘিরে আ. লীগ-ছাত্রলীগকে সড়কে নামতে দেওয়া হবে না: ডিএমপি কমিশনার

এছাড়াও গতকাল রোববার দুপুরের পর বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা হা-মীম, শারমিন, নাসা ও আল মুসলিম ডেকো গ্রুপের পোশাক কারখানাগুলোতে হামলা চালায়। এ সময় তারা কারখানার প্রধান গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে অন্যান্য শ্রমিকদেরকে কাজ বন্ধ করে বেরিয়ে আসতে বাধ্য করেন। এ পরিস্থিতে রোববার সন্ধ্যায় টঙ্গী আশুলিয়া সড়কের দুপাশের প্রায় ৪৩ পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে প্রধান গেটে নোটিশ দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকালে ৮ পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা কাজে যোগ দিলেও দুপুরের পর কারখানাগুলোতে শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন দাবিতে কারখানার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েকবার বসেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবিগুলো মেনে নেয়নি। আমাদের পোষাক খাতে শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ২৫ হাজার টাকা করার জন্য কয়েকবার আন্দোলন করা হয়েছে। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে না নিয়ে তালবাহানা করছে।’

আরও পড়ুন: সরকারি প্রশিক্ষণে বাড়লো ভাতা ও সম্মানী

শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম সমকালকে বলেন, ‘সকালে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেন। পরে তাদেরকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। তবে শিল্পাঞ্চলে ৪৩ পোশাক কারখানা ১৩ (১) ধারায় বন্ধ ঘোষণা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ৮ পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে এবং সেনাবাহিনী টহল অব্যাহত রেখেছে।’