নগরভবনের প্রধান ফটকে ইশরাকপন্থিরা, সেবা কার্যক্রম বন্ধ

ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে আজও বিক্ষোভ কর্মসূচি করছেন তার সমর্থকরা। নগরভবনের প্রধান ফটক আটকে সেখানে অবস্থান নিয়েছেন কয়েকশত মানুষ। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে সেবা কার্যক্রম।
রোববার (১৮ মে) সকাল থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নগরভবনের প্রধান ফটকের সামনে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা। এ নিয়ে টানা চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন ইশরাকের সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্ট ঘিরে আ. লীগ-ছাত্রলীগকে সড়কে নামতে দেওয়া হবে না: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে এসে তারা নগরভবনের সামনে জড়ো হচ্ছেন। বাইরে অবস্থান নিয়ে ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণে বিলম্বের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা। এ সময় ‘শপথ শপথ চাই, ইশরাক ভাইয়ের শপথ চাই’, ‘শপথ নিয়ে তালবাহানা চলবে না চলবে না’, ‘অবিলম্বে ইশরাক হোসেনের শপথ চাই, দিতে হবে’, ‘জনতার মেয়র ইশরাক ভাই, অন্য কোনো মেয়র নাই’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা এমদাদুল হক বলেন, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক জনগণের ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা তাকে দ্রুত মেয়র হিসেবে দেখতে চাই। তার বিষয়টি কত দিন এভাবে আটকে রাখবে? সরকারের কাছে আমাদের প্রশ্ন, কেন তাকে এখনো শপথ গ্রহণ করানো হচ্ছে না? শপথ যত দিন পড়ানো হবে না, তত দিন আমরা রাজপথ ছাড়ছি না। যদি এটা নিয়ে কোনো টালবাহানা হয়, আমরা আরও বড় কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
আরও পড়ুন: সরকারি প্রশিক্ষণে বাড়লো ভাতা ও সম্মানী
পুরান ঢাকা থেকে আসা নাসরিন আক্তার বলেন, ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট পাস হলেও তাকে শপথ পড়ানো হচ্ছে না। অনতিবিলম্বে তাকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করা হয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ের কপি পেয়ে ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় নির্বাচন কমিশন।
গেজেট প্রকাশের ২০ দিন পার হলেও তাকে শপথ করানো হয়নি জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা শপথ গ্রহণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।