জীবননগরের স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় আসামি তামিম গ্রেফতার

Sadek Ali
সালাউদ্দীন কাজল, জীবননগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২:০৫ অপরাহ্ন, ০৯ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১২:৪২ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ১০ বছরের   স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের মূল আসামি তামিমকে (১৮) গ্রেফতার করেছে জীবননগর থানা পুলিশ। বুধবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মামুন হোসেনের বিশ্বাসের নেতৃত্বে এসআই মিজান ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ জীবননগর পৌর এলাকা থেকে তামিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হন। ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে ধর্ষক গয়েশপুর গ্রামের মামুন হোসেন ঘেনার ছেলে তামিম হোসেনের (১৮) বিরুদ্ধে গত শুক্রবার জীবননগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে পলাতক ছিল তামিম। এরপর থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বুধবার রাত ৮ টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মদপানে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ১

উল্লেখ্যঃ ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর বাড়ির সামনে তামিম হোসেনের নানা বাড়ি। গ্রেপ্তারকৃত তামিম তার নানার বাড়িতে থাকে। একই এলাকায় থাকার সুবাদে তামিম হোসেন কৌশলে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে তোলে। গত ২ অক্টোবর আনুমানিক রাত ১০ টায় ভুক্তভোগী প্রকৃতির ডাকে ঘর থেকে বাইরে বের হলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা তামিম হোসেন স্কুল ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক গয়েশপুর গ্রামের তার নানা সোহরাব হোসেনের বাড়িতে নিয়ে যায়। 

সেখানে একটি রুমের মধ্যে তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। 

আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে উৎপাদনশীল করতে হলে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে: ড. মঈন খান

এদিকে স্কুল ছাত্রীকে ঘরে না পেয়ে তার মা আশপাশে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে কান্নার শব্দ শুনতে পায়। পরে আসামী তামিম হোসেনের শয়নকক্ষ থেকে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এরপর ভুক্তভোগী ছাত্রীর পিতা জীবননগর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, ধর্ষণ মামলা হওয়ার পর থেকে গ্রেফতারকৃত তামিম পলাতক ছিলেন। পরবর্তীতে আমরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পৌর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করি। বৃহস্পতিবার তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।