খুলনা প্রেসক্লাবে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে প্রেস সচিবের দীর্ঘ বৈঠক

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৩৬ অপরাহ্ন, ২৮ জুন ২০২৫ | আপডেট: ৮:০৫ পূর্বাহ্ন, ১২ জুলাই ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলনের মুখে খুলনা প্রেসক্লাবে গিয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শনিবার (২৮ জুন) বিকালে তিনি প্রেসক্লাব পরিদর্শনে সেখানে গেলে আন্দোলনকারীরা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা বলতে থাকেন, কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ নিয়ে কোনও ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত প্রেস সচিবকে বের হতে দেওয়া হবে না।

আরও পড়ুন: ১৫ আগস্ট ঘিরে আ. লীগ-ছাত্রলীগকে সড়কে নামতে দেওয়া হবে না: ডিএমপি কমিশনার

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ‌নিবার বিকেলে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে খুলনা প্রেস ক্লাব পরিদর্শনে আসেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারের অপসারণের দাবিতে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে বিএনপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা। এর আগে আজ সকাল থেকেই কেএমপি কমিশনারের অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে উত্তাল ছিল খুলনা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, একপর্যায়ে প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন। বৈঠক শে‌ষে পু‌লিশ ক‌মিশনারের পদত্যাগের বিষ‌য়ে প্রধান উপ‌দেষ্টাকে অবগত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। পরে নৌ বা‌হিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা দিয়ে প্রেস ক্লাব থেকে বের করে নিয়ে যান।

আরও পড়ুন: সরকারি প্রশিক্ষণে বাড়লো ভাতা ও সম্মানী

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, আমরা প্রেস সচিবের কাছ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত চাই না। আমরা আইজিপি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে সমাধান চেয়েছিলাম কিন্তু তারা কিছু করেনি। আমরা শুধুমাত্র প্রেস সচিবের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি বার্তা দিতে চাই যে, এ অযোগ্য পুলিশ কমিশনার খুলনায় থাকতে পারবে না।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের খুলনা মহানগরের সদস্যসচিব জহুরুল তানভীর বলেন, প্রেস সচিবের কাছে শুধুমাত্র আমরা একটি মেসেজ পৌঁছে দিতে চাই যে, পুলিশ কমিশনারের বিষয়ে আমাদের মেসেজটি উনি প্রধান উপদেষ্টাকে দেবেন। গত ৪দিন ধরে আমরা কেএমপি কমিশনারের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করছি।

তিনি আরও বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এমনকি পুলিশের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আমাদের খোঁজ নেয়নি। যেহেতু আমরা প্রেস সচিবকে পেয়েছি তার কাছে শুধুমাত্র আমাদের দাবি পৌঁছে দিতে চাই।

প্রসঙ্গত, সুকান্ত দাশ নামে এক এসআইকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেও তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এর প্রতিবাদে কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এই সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে শনিবার (২৮ জুন) দুপুর ১২টা থেকে ‘খুলনা অচল’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।