শেখ হাসিনাকে কেন পুশ-ইন করছেন না ভারতকে রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ভারতের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, শেখ হাসিনা তো বাংলাদেশের মানুষ, মুসলমান। তাঁকে কেন পুশ-ইন করছেন না? যে সব দুর্বৃত্ত পালিয়ে গেছে ভারতে, তাদের তো পুশ-ইন করছেন না।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মরহুম শফিউল বারী বাবুর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীদের বেতন সমন্বয়ে জাতীয় বেতন কমিশনের প্রথম সভা আজ
রিজভী বলেন, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরায় প্রচুর বাঙালি বাস করে এবং মুসলিম ধর্মের অনুসারী প্রচুর বাঙালি আছে। আমাদের জাতীয়তা-পরিচয় আমরা বাংলাদেশি। আমাদের ভাষা বাংলা, সংস্কৃতি বাংলা। বাঙালি সংস্কৃতি কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ অর্থাৎ ইন্ডিয়াতে বসবাস করা বাঙালি মুসলমান তো অনেক আছে। তাদের জোর করে পুশ-ইন করা হচ্ছে। শেখ হাসিনাও তো বাঙালি মুসলমান—বাংলাদেশের মানুষ, তাঁকে পুশ-ইন করছেন না কেন? যে সব দুর্বৃত্তরা ভারতে পালিয়ে গেছে, তাদের তো পুশ-ইন করছেন না কেন?
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ভারতের নাগরিক হাজার হাজার বছর ধরে সেখানে বসবাস করছে, কিন্তু ধর্ম তারা মুসলমান হওয়ার কারণে এবং বাংলা ভাষায় কথা বলে এজন্য তাদের ধাক্কা দিয়ে জোর করে পুশ-ইন করা হচ্ছে। সরকারের উচিত পুশব্যাক করা। এই পুশব্যাক কেন সরকার করতে পারছে না, আগে তো আমরা দেখেছি, চেষ্টা হয়েছে, তখন তো পুশব্যাক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনী প্রধানের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই: আইএসপিআর
রিজভী বলেন, বাংলাদেশে তাদের পছন্দের সরকার চায় ভারত। সেই সরকারকে জনগণ পছন্দ করুক আর না করুক, তাতে কোনো দায় নেই। তাদের মনোনীত ব্যক্তি থাকতে হবে। তার মানে এটা কারা করে? যারা প্রভুত্বকারী দেশ, যারা সাম্রাজ্যবাদী দেশ তারা। যখন অন্য দেশকে দখল করতে চায় বা প্রভাব বিস্তার করতে চায়, শেখ হাসিনা ছিল সেই প্রতিভূ। এই কারণেই তাদের (ভারতের) মন খারাপ।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল বা বিএনপির নামে যদি কেউ অন্যায় করে, অপকর্ম করে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি পুলিশকে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসানের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন—বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, হাবিব উন নবী খান সোহেল, আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, রংপুর বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।