দুর্নীতির মামলায় সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ কারাগারে

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।
দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) কলিমুল্লাহকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানালে শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সিএমপির সাংবাদিক নির্যাতন: ঘুসি আকবরের পর ডিসি আমিরুল
গত ১৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কলিমুল্লাহসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলার অন্য আসামিরা হলেন: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম নূর-উন-নবী, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্যসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার মো. আ. সালাম বাচ্চু এবং এম এম হাবিবুর রহমান।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে অনুমোদিত ডিপিপি (Development Project Proposal) উপেক্ষা করে নকশা পরিবর্তন করেন। তারা ৩০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের চুক্তি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই সম্পন্ন করেন। এছাড়াও, ঠিকাদারের রানিং বিল থেকে কেটে নেওয়া নিরাপত্তা জামানতকে এফডিআর হিসেবে ব্যাংকে জমা রেখে, সেই এফডিআর ঠিকাদারকে ঋণ দেওয়ার জন্য ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ অনুমোদন ও গ্যারান্টার হয়ে ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা
এজাহারে আরও বলা হয়, ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তিতে অগ্রিম অর্থ দেওয়ার কোনো আইন না থাকা সত্ত্বেও তারা অগ্রিম বিল দেন এবং বিল সমন্বয়ের আগেই ব্যাংক গ্যারান্টি অবমুক্ত করেন। প্রথম পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের দেওয়া নকশা না মেনে বিধি বহির্ভূতভাবে দ্বিতীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়। অস্বাভাবিক হারে মূল্য দাখিল বা ‘ফ্রন্ট লোডিং’ থাকা সত্ত্বেও পিপিআর ২০০৮-এর বিধান অনুযায়ী দরপত্র মূল্যায়ন না করার অভিযোগও তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে।