সীমানা পুনর্নির্ধারণে ৮৩ আসন নিয়ে ইসিতে জমা ১,৭৬০ আবেদন

৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের খসড়া প্রকাশের পর ৮৩টি আসন থেকে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা পড়েছে মোট ১ হাজার ৭৬০টি আপত্তি ও পরামর্শ আবেদন। নির্বাচন পরিচালনা শাখার একটি প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়ে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে কুমিল্লা অঞ্চল থেকে সংখ্যাটি ৬৮৩টি। বিপরীতে, সবচেয়ে কম আবেদন জমা পড়ে রংপুর অঞ্চল থেকে মোট মাত্র ৭টি।
আরও পড়ুন: চিকিৎসকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন আইন উপদেষ্টা
আসনভিত্তিক হিসাবে দেখা গেছে, একক আসন হিসেবে কুমিল্লা-১ এ সর্বোচ্চ ৩৬২টি আবেদন জমা পড়ে। এছাড়া পিরোজপুর-১, ২ ও ৩ আসন থেকে এসেছে ২৮৭টি এবং সিরাজগঞ্জ-৫ ও ৬ আসন থেকে এসেছে ২২০টি আবেদন। ঢাকা-১ আসন থেকেও উল্লেখযোগ্যভাবে ৭৯টি আবেদন জমা হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ জুলাই, ইসি নতুন করে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে একটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করে। এতে ভোটার সংখ্যার সামঞ্জস্য আনার লক্ষ্যে গাজীপুর জেলার একটি আসন বাড়িয়ে ৬টি এবং বাগেরহাট জেলার একটি আসন কমিয়ে ৩টি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: তিন বাহিনীর ১৫ বছরের বঞ্চনার আবেদন পর্যালোচনায় কমিটি গঠন
খসড়ায় ৩৯টি আসনের সীমা আংশিক পরিবর্তন আনা হয়। সংশোধনকৃত আসনগুলো হলো, পঞ্চগড়-১ ও ২; রংপুর-৩; সিরাজগঞ্জ-১ ও ২; সাতক্ষীরা-৩ ও ৪; শরীয়তপুর-২ ও ৩; ঢাকা-২, ৩, ৭, ১০, ১৪ ও ১৯; গাজীপুর-১, ২, ৩, ৫ ও ৬; নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪ ও ৫; সিলেট-১ ও ৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩; কুমিল্লা-১, ২, ১০ ও ১১; নোয়াখালী-১, ২, ৪ ও ৫; চট্টগ্রাম-৭ ও ৮ এবং বাগেরহাট-২ ও ৩।
প্রকাশিত খসড়ার ওপর ১০ আগস্ট পর্যন্ত দাবি-আপত্তি দাখিলের সময় নির্ধারণ করে ইসি। এই সময়সীমার মধ্যেই মোট ১,৭৬০টি আবেদন জমা পড়ে। পরবর্তী ধাপে শুনানির মাধ্যমে আবেদনগুলোর মূল্যায়ন শেষে ইসি চূড়ান্ত সীমানা তালিকা প্রকাশ করবে।
আগে বাগেরহাট-১ (মোল্লারহাট-ফকিরহাট-চিতালমারি); বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া); বাগেরহাট-৩ (রামপাল ও মোংলা), বাগেরহাট-৪ (মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা) এই চারটি আসন ছিল বাগেরহাটে।
খসড়ায় বাগেরহাট-১ অপরিবর্তিত রেখে বাগেরহাট-২ আসনে সদর, কচুয়া ও রামপাল এবং বাগেরহাট-৩ আসনে মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ৬৪ জেলার গড় ভোটার সংখ্যা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৫০০। এই গড় ধরে গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানো এবং বাগেরহাটে একটি কমানো হয়েছে, যাতে প্রতিনিধিত্বে ভারসাম্য আসে। ৩৯টি আসনে অ্যাডজাস্টমেন্ট রয়েছে।
ইসি জানিয়েছে, নির্ধারিত প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত সীমানা তালিকা প্রকাশ করা হবে, যা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহৃত হবে।