নির্বাচনে বাধা দেওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, আরও আসবে: প্রধান উপদেষ্টা

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:২৯ পূর্বাহ্ন, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৭:২৯ পূর্বাহ্ন, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যারা সরকারকে নির্বাচন পর্যন্ত যেতে দিতে চায় না, তারা নানাভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। এর কিছু লক্ষণ এখন দেখা যাচ্ছে, সামনে আরও আসবে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাতটি রাজনৈতিক দল ও একটি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন। পরে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

আরও পড়ুন: শঙ্কা কাটছে: নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলগুলো

প্রধান উপদেষ্টা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, "বাধাগ্রস্ত করার যে চেষ্টাই হোক না কেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে উৎসবমুখর পরিবেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।" তিনি বলেন, "আমাদের চেষ্টা হবে নির্বাচন করার এবং নির্বাচিত সরকারের হাতে আমরা ক্ষমতা হস্তান্তর করব।"

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, যারা জীবনে কখনো ভোট দিতে পারেননি, তাদের জন্য এই নির্বাচনে ভালো অভিজ্ঞতা তৈরি করতে হবে। যারা পূর্বে ভোট দিতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন, তাদেরও ভালো অভিজ্ঞতা দিতে হবে। কেউ যেন বলতে না পারে যে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন: কুড়িলে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচন আয়োজনে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, "এবারের নির্বাচন অনন্য। এটি কেবল অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন নয়, এটি দেশের সকল মানুষের, সকল রাজনৈতিক দলের নির্বাচন। এই নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষা হলো ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নির্মাণের। এটি হবে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর, নিজের ভঙ্গিতে দেশ পরিচালনার নির্বাচন।"

প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, "প্রতি পদে পদে বাধা আসবে। সবার মনে দ্বন্দ্ব তৈরি করার চেষ্টা হবে। আমরা যেন সঠিক থাকি, স্থির থাকি। সবাই একসঙ্গে সহযোগিতা করি।" আসন্ন দুর্গাপূজার সময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, "অনেক গণ্ডগোল তৈরি করার চেষ্টা হবে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এবারও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন হবে।"

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এই বৈঠকে অংশ নেয় এবি পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় গণফ্রন্ট এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।