আফগানিস্তানে ৬ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২৫০, আহত ৫০০

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে। রোববার (৩১ আগস্ট) রাতে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ২৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০০ জন। দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয় আনাদোলু এজেন্সিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: ভারত সফরের পরিকল্পনা বাতিল করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প: নিউইয়র্ক টাইমস
ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গ্রিনিচ মান সময় রাত ১৯টা ১৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল জালালাবাদের ২৭ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তর-পূর্বে এবং ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল মাত্র ৮ কিলোমিটার। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ধরা পড়েছে ৬.০।
আরও পড়ুন: সাত বছর পর চীনে মোদি, বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে জানানো হয়, ভূমিকম্পটি সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি করে পাকিস্তান সীমান্তবর্তী নানগারহার ও কুনার প্রদেশে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভূমিকম্পটি আঘাত হানে রোববার রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে। উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার গভীরে। মূল ভূমিকম্পের পর অন্তত তিন দফা আফটারশক অনুভূত হয়েছে, যেগুলোর মাত্রা ছিল ৪.৫ থেকে ৫.২ এর মধ্যে।
রাজধানী কাবুলসহ (কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ২০০ কিমি দূরে) ভবন কেঁপে ওঠে কয়েক সেকেন্ড ধরে। এমনকি প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরের পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
তালেবান সরকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা কঠিন হয়ে পড়েছে। ভূমিধস ও প্রবল বর্ষণে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এজন্য তারা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে জরুরি সহায়তা চেয়েছেন। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছাতে হেলিকপ্টার ও জরুরি সরঞ্জামের প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন।
কুনার প্রদেশের পুলিশ প্রধান বলেন, আফটারশক ও বর্ষণের কারণে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে, যা উদ্ধারকাজ আরও জটিল করে তুলেছে। সীমিত সরঞ্জাম নিয়ে স্থানীয়ভাবে চেষ্টা চলছে, তবে বড় পরিসরে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জরুরি।