সাবেক সংসদ সদস্য ও তার ছেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৬ অপরাহ্ন, ০৯ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১০:৪৬ অপরাহ্ন, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. হেফজুল বারি মোহাম্মদ ইকবাল এবং তার ছেলে ইমরান ইকবালের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

একই সঙ্গে ডা. ইকবালের স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শিল্পী ও অপর ছেলে মঈন ইকবালকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি।

আরও পড়ুন: বিচারকদেরও জবাবদিহিতা থাকা উচিত: ট্রাইব্যুনালের অভিমত

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুদক প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। মামলাগুলো দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রহমানের নেতৃত্বে গঠিত অনুসন্ধান টিম দায়ের করেন। টিমের অপর সদস্য ছিলেন উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডা. এইচ.বি.এম. ইকবালের নামে মোট ২৯৮ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৯ টাকার সম্পদ শনাক্ত করা হয়েছে। দায় বাদ দিলে তার নিট সম্পদ দাঁড়ায় ১৫৯ কোটি ৬৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫৬৫ টাকা। কিন্তু তিনি বৈধ আয়ের বিপরীতে নিট সঞ্চয় দেখিয়েছেন ৯৭ কোটি ৪১ লাখ ৪৯ হাজার ৭৮৩ টাকা। ফলে জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬২ কোটি ২৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৮২ টাকা।

আরও পড়ুন: রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

অন্যদিকে তার ছেলে ইমরান ইকবালের নামে ৪৫ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার ৩৯৭ টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে, যার বিপরীতে বৈধ নিট আয় রয়েছে ৪০ কোটি ৭০ লাখ টাকা। তিনি জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত ৫ কোটি ৩ লাখ টাকার সম্পদ ভোগ ও দখল করেছেন বলে দুদক জানায়।

এসব অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এছাড়া অনুসন্ধানে জানা যায়, ডা. ইকবালের স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শিল্পীর নামে ১০ কোটি ৮২ লাখ টাকার সম্পদ রয়েছে, যেখানে তার বৈধ আয় ১০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ফলে জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৭ লাখ ৬৭ হাজার টাকা।

একইভাবে ডা. ইকবালের অপর পুত্র মঈন ইকবালের নামে ৪৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার সম্পদ শনাক্ত হয়েছে, যার বিপরীতে বৈধ আয় ৪৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। তার অবৈধ সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৩১ লাখ টাকা।

তাদের প্রকৃত সম্পদ ও আয়ের উৎস যাচাইয়ের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(১) ধারা অনুযায়ী সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে দুদক।