ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশকে ইসির সংলাপ থেকে বের করে দেওয়া হলো

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:২০ অপরাহ্ন, ১৬ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২:২০ অপরাহ্ন, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আয়োজিত সংলাপ শুরু হওয়ার আগেই ইসলামী ঐক্যজোটের দুই অংশের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপ নেয়। রোববার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের কমিশন ভবনের সম্মেলনকক্ষে সংলাপ শুরুর ঠিক আগে এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়।

সংলাপ শুরুর সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, অন্য চার নির্বাচন কমিশনার এবং ছয়টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি দল।

আরও পড়ুন: দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ আগামী সপ্তাহে

ইসি সূত্র জানায়, সংলাপের কয়েক মিনিট আগে মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজির নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল হলে প্রবেশ করলে দেখা যায়, হাসানাত আমিনীর অনুসারীরাও আগে থেকেই উপস্থিত। প্রবেশ করেই রাজি অপর পক্ষকে ‘ফ্যাসিবাদের সহযোগী’ বলে অভিযুক্ত করেন এবং দাবি করেন, ‘‘বিগত নির্বাচনে তারা স্বৈরশাসনকে বৈধতা দিয়েছে, তাই তাদের সঙ্গে একই টেবিলে বসা সম্ভব নয়।’’

পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ দুই পক্ষের আমন্ত্রণপত্র যাচাই করতে বলেন। রাজির অংশ হার্ডকপি প্রদর্শন করতে পারলেও আরেক অংশ শুধু মোবাইলে সংরক্ষিত কপি দেখায়। সচিব স্পষ্ট জানিয়ে দেন—‘‘হার্ডকপি ছাড়া অংশগ্রহণ করা যাবে না’’—এবং বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়নি। ফলে আমিনীর অনুসারী প্রতিনিধি দলকে হলরুম ছাড়তে বাধ্য করা হয়।

আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিশ্বনেতাদের উত্থান, পতন ও পরিণতি

বেরিয়ে যাওয়ার পর দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দল নিবন্ধিত আমাদের নামে, আমন্ত্রণপত্রও আমাদেরই ছিল। অন্য অংশ ব্ল্যাকমেইল করে কপি সংগ্রহ করেছে।’’

সংলাপের শুরুতে সিইসি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। আচরণবিধি মেনে চললে নির্বাচনী পরিবেশ আরও সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সকালের এই সংলাপে অংশ নেয়: গণফোরাম, গণফ্রন্ট, ইসলামী ঐক্যফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি।