নির্ভীক সাহসিকতায় তৈরি জাতির গর্বিত প্রতিষ্ঠান সশস্ত্র বাহিনী: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “নির্ভীক সাহসিকতা, শৌর্য ও সংকল্পবদ্ধ শৃঙ্খলা দিয়ে তৈরি জাতির এক গর্বিত প্রতিষ্ঠান সশস্ত্র বাহিনী।”
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ আগামী সপ্তাহে
তিনি বলেন, “সশস্ত্র বাহিনী দিবসে আমি বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। তাদের পরিবারকে সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করি। এ দিবসে বাহিনীর সার্বিক সাফল্য, উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।”
তারেক রহমান উল্লেখ করেন, “১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী গঠিত হয়। সেদিন থেকে এই দিনটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ‘৭১-এর রণাঙ্গণে বাহিনীর অসীম সাহস ইতিহাসের উজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।”
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিশ্বনেতাদের উত্থান, পতন ও পরিণতি
তিনি আরও বলেন, “সশস্ত্র বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যরা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখণ্ডত্ব রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর মতো দায়িত্ব পালন করে আসছে। দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের সময়ে এ বাহিনীর বলিষ্ঠ ভূমিকা জাতির আস্থার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।”
বিএনপির চেয়ারম্যান স্মরণ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান শহীদ জিয়াউর রহমানকে, যিনি সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর, দক্ষ ও পেশাদার বাহিনীতে রূপান্তর করেছিলেন। একইভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সময়ও বাহিনীকে আরও আধুনিকায়ন করা হয়েছিল।
তারেক রহমান গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী ও কর্মকর্তাদের, যেমন: মোস্তফা কামাল, ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, সিপাহী হামিদুর রহমান, রুহুল আমিন, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান, ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্মদ শেখ ও ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ।
বাণীর শেষে তিনি সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।





