ঢাকায় ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে ধসে পড়তে পারে সাড়ে ৮ লাখ ভবন: রাজউক

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪০ পূর্বাহ্ন, ২৫ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

নরসিংদীর মধুপুর ফল্টে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে রাজধানী ঢাকায় সাড়ে ৮ লাখের বেশি ভবন ধসে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে রাজউক। এতে প্রায় দুই লাখ মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। 

সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ভূমিকম্পজনিত ঝুঁকি নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় গবেষণার এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিশ্বনেতাদের উত্থান, পতন ও পরিণতি

রাজউকের গবেষণায় বলা হয়, দিনের বেলায় এমন মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানলে প্রায় ৮ লাখ ৬৫ হাজার ভবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সম্ভাব্য আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ২৫ বিলিয়ন ডলার। তবে সিলেট ফল্টে উৎপন্ন ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কম হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা ভূমিকম্পের বড় ঝুঁকিতে রয়েছে এবং এখনই দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের বিকল্প নেই। বুয়েটের অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, রাজউকের একার পক্ষে ভবন তদারকি করা সম্ভব নয়। ভবন নিরীক্ষায় বেসরকারি তৃতীয় পক্ষকে যুক্ত করলে কাজের মান ও গতি দুটোই বাড়বে।

আরও পড়ুন: অবসরে যাচ্ছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ভবন নিরাপত্তা যাচাইয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করতে বিশেষ আদেশ জারির আহ্বান জানান। তিনি বলেন, স্থাপনা মালিকদের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা, ডেসা ও গ্যাসের মতো সেবাদানকারী সংস্থাকেও সমন্বিতভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিটি এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দল গঠনেরও সুপারিশ করেন তিনি।

গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান জানান, ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকার ইতোমধ্যে প্রস্তুতি জোরদার করেছে। তিনি বলেন, “সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় ও জনগণের প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে কাজ চলছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে।”

আলোচনায় রাজউক চেয়ারম্যান আরও জানান, নিরাপদ ভবন নির্মাণ ও তদারকি নিশ্চিত করতে একটি নতুন কর্তৃপক্ষ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকায় শুক্রবারের সাম্প্রতিক ভূমিকম্প (মাত্রা ৬-এরও কম) রাজধানীর ভবনগুলোতে দুলুনি সৃষ্টি করে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয় এবং দেশে অন্তত ১০ জন প্রাণ হারান। এতে আবারও স্পষ্ট হয়েছে রাজধানীর ভূমিকম্প ঝুঁকির বাস্তবতা ও প্রস্তুতির ঘাটতি।