সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত: সিইসি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুসংহত রাখতে সব বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি আয়োজিত নির্বাচনী পরিস্থিতি মোকাবিলার মক এক্সারসাইজ সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অবসরে যাচ্ছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ
সিইসি জানান, ভোটের সময় যেসব চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে, সেগুলো মাথায় রেখে বিজিবি বাস্তবসম্মত অনুশীলন করেছে। “নির্বাচনী সময়ে সম্ভাব্য প্রতিটি পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে যে মহড়া দেখানো হয়েছে, তা আমাদের নির্বাচনী সংস্কৃতির সঙ্গে মিল রেখেই তৈরি। এই সক্ষমতা ভোট পরিচালনায় বড় ভূমিকা রাখবে,” মন্তব্য করেন নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়মিত দায়িত্ব নয়; তাই চার-পাঁচ বছর পরপর এলে বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। পুলিশ, আনসার–বিডিপি এবং অন্যান্য বাহিনীও পর্যায়ক্রমে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এতে সম্মিলিতভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পরপর তিন দফা ভূমিকম্পে আবারো কেঁপে উঠলো ঢাকা
বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, পারফেক্ট বলবো না, তবে ৫ আগস্ট ২০২৪-এর ঘটনা থেকে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। ভোটের তারিখ যত ঘনিয়ে আসবে, পরিস্থিতি তত স্বাভাবিক হবে।
এ ছাড়া ৩০ নভেম্বর নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করে চূড়ান্ত মোতায়েন কৌশল নির্ধারণ করা হবে বলে জানান তিনি। সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, সেনারা কন্টিনজেন্ট আকারে দায়িত্ব পালন করে; তাই তাদের মোতায়েন অত্যন্ত হিসেব–নিকেশ করে করতে হবে।
নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণার বিষয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, ভোটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা যে-ই করুক, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি সাংবাদিক, ভোটার ও সাধারণ মানুষকেও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ভোটকেন্দ্রগুলো রেড, ইয়েলো ও গ্রিন—এই তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্ব বণ্টন করা হবে।
এদিকে বিজিবি জানিয়েছে, নির্বাচনী দায়িত্বে তাদের ১,২১০ প্লাটুন সদস্য মাঠে থাকবে। সীমান্তবর্তী ১১৫ উপজেলার মধ্যে ৬০টিতে বিজিবি এককভাবে দায়িত্ব পালন করবে। সন্দীপ, হাতিয়া ও কুতুবদিয়া ছাড়া দেশের সব উপজেলাতেই তারা দায়িত্ব পালন করবে।
মহড়ায় বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।





