হাদিকে গুলি: আদালতে যা বললেন হান্নান
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক মো. আব্দুল হান্নানকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী।
আরও পড়ুন: সরকারিভাবে ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর উদ্যোগ
রিমান্ড শুনানিকালে আদালতের অনুমতি পেয়ে আব্দুল হান্নান বলেন, তিনি মোটরসাইকেলটি মিরপুর মাজার রোড এলাকা থেকে কিনেছিলেন। তবে অসুস্থতার কারণে পরিবারের সদস্যরা তাকে মোটরসাইকেল চালাতে নিষেধ করেন। এরপর থেকে বাইকটি বাসায় পড়ে ছিল। পরে তিনি মোটরসাইকেলটি একটি শোরুমে বিক্রি করেন এবং নাম পরিবর্তন করে দেওয়ার কথা জানান। দুই মাস পর নাম পরিবর্তনের কথা থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি শোরুমে যেতে পারেননি।
আদালতে তিনি আরও দাবি করেন, গ্রেপ্তারের সময় পুলিশকে সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানিয়ে শোরুমে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাকে সেখানে না নিয়ে গিয়ে মামলা দিয়ে থানায় আটক রাখে। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
আরও পড়ুন: হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ফয়সালের স্বাক্ষরিত বিপুল পরিমাণ চেকবইসহ তিনজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর
রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষে শুনানিতে পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির মডেল ইতোমধ্যে তদন্ত কর্মকর্তারা শনাক্ত করেছেন এবং যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। হত্যাচেষ্টার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে হান্নানের রিমান্ড প্রয়োজন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে মোটরসাইকেলটি আসামিদের হাতে গেল এবং মালিক হয়েও তাদের সঙ্গে তার কী সম্পর্ক রয়েছে। দেশের মানুষ এ ঘটনার দিকে তাকিয়ে আছে উল্লেখ করে তিনি সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান।
রাষ্ট্রপক্ষের আরেক আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি শামসুদ্দোহা সুমন বলেন, মোটরসাইকেলের নম্বর পরীক্ষা করে দেখা গেছে এর মালিক হান্নান। তিনি দাবি করেন, একটি সংঘবদ্ধ চক্র পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে এবং আসামি গ্রেপ্তারের পর পরস্পরবিরোধী তথ্য দিচ্ছেন।
তবে এদিন আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। শুনানির শেষ পর্যায়ে আদালতের অনুমতি নিয়ে আসামি নিজ বক্তব্য উপস্থাপন করেন। সব পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়ে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে হান্নানকে আদালতে হাজির করা হয়। প্রথমে পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক শামীম হাসান তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। পরে পৃথক আবেদনে চারটি কারণ উল্লেখ করে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।





