হাদির হামলাকারীরা ভারতে পালিয়েছে এমন তথ্য নিশ্চিত নয় ডিএমপি

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:৪০ অপরাহ্ন, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১০:০২ অপরাহ্ন, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্তরা ভারতে পালিয়ে গেছে—এমন কোনো নিশ্চিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, ঘটনার তদন্তে ডিবিসহ ডিএমপির একাধিক টিম কাজ করছে। তবে এখন পর্যন্ত হামলাকারীরা ভারতে পালিয়েছে—এমন কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য পুলিশের কাছে আসেনি।

আরও পড়ুন: হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ফয়সালের স্বাক্ষরিত বিপুল পরিমাণ চেকবইসহ তিনজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর

তিনি বলেন, “আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি। সম্ভাব্য সব দিক বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত চলছে।”

তদন্ত অগ্রগতি জানাতে ডিএমপির সংবাদ সম্মেলন

আরও পড়ুন: আইইপিএমপি বাতিল ও জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্প বন্ধের দাবি তৃতীয় জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশে

ওসমান হাদির ওপর হামলার তদন্তের সর্বশেষ অগ্রগতি জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে পাঠানো এক ক্ষুদে বার্তায় জানানো হয়, রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরবেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাল্টা দাবি

এদিকে, কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে দাবি করেছেন, হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান এবং তার সহযোগী মোটরসাইকেলচালক আলমগীর হোসেন সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছে।

পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, অভিযুক্তরা বর্তমানে ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটি শহরে অবস্থান করছে। সেখানে তাদের সহায়তা করছেন আওয়ামী লীগের এক নেতার ব্যক্তিগত সহকারী বলে পরিচিত মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব।

এছাড়া ওই পোস্টে আরও দাবি করা হয়, ঘটনাটি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত হয়েছে এবং একই ধরনের আরও হামলার আশঙ্কাও রয়েছে।

তবে এসব দাবি সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো নিশ্চিত বক্তব্য দেওয়া হয়নি।