সংস্কারের ৩১দফায় তারেক রহমান শিক্ষকদের অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন: ডা. মাজহার

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডাঃ মাজহারুল আলম বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১দফা সংস্কার কর্মসূচিতে দেশের অবহেলিত শিক্ষক সমাজের প্রাপ্য সম্মান এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে।
বিনাভোটের পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার বিগত ১৬ বছরে সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট, গুম, হত্যা এবং অমানবিক জুলুম নির্যাতনের মাধ্যমে দেশে ভয়ঙ্কর বাকশালি অপশাসন কায়েম করেছিল। তারা গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, অর্থনীতি, রাজনীতি, বিচার ব্যবস্থা ও শিক্ষা ব্যবস্থাসহ সকল রাষ্টীয় প্রতিষ্ঠান এমনকি দেশের সার্বভৌমত্বকেও ধ্বংস করেছিল।
আরও পড়ুন: জোটে না এককভাবে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি: সারজিস আলম
গাজীপুর মহানগরের চান্দনায় অবস্থিত সিটি কলেজের সম্মেলন কক্ষে ১৫টি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গাজীপুর সিটি কলেজের সভাপতি অধ্যাপক মোঃ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষকের সাথে মতবিনিময়কালে ডা.মাজহার আরো বলেন, বিগত ১৬ বছর তারেক রহমান ও বিএনপির ডাকে দেশবাসীর সাথে সচেতন শিক্ষকগণও অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরে নির্বাচনী প্রচারণায় নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান: আমান উল্লাহ আমান
শহীদ জিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ এবং কালজয়ী সংস্কার হলো দ্বিধাগ্রস্ত জাতির সামনে একাত্তরের ২৬শে মার্চে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা। তারপর,শহীদ জিয়া এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বহুবিদ অসামান্য সংস্কারের মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্র, আধুনিক বাংলাদেশ, সংসদীয় গণতন্ত্র, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার,নারী শিক্ষা, স্বনির্ভর আন্দোলন, খালকাটা,নিরক্ষরতা দূরীকরণ অভিযান ইত্যাদি কর্মসুচি– বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে শুধুমাত্র বিএনপির গণমূখী সংস্কারের কারনেই জাতি সামনের দিকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আর, বিভিন্ন স্বৈরাচারের গনবিরোধী কুসংস্কারের কর্মকাণ্ড জাতিকে পেছনে ঠেলে দিয়েছে।
ডা.মাজহার বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় গণতন্ত্রের ক্রান্তিকালীন সুদীর্ঘ সময় যিনি জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেই তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ গঠনের প্রকৃত সংস্কার করা হবে। তবে, বেশি দেরীতে নির্বাচন হলে দেশে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।
তাই,অতিদ্রুত কুসংস্কারকারী গণদুশমনদের বিচার করাএবং জাতিকে গণতন্ত্র উপহার দেয়া –রাষ্ট্রসংস্কারের প্রধান কাজ, বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক অধ্যাপক মোঃ শহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ ড. আব্দুল মোত্তালিব, অধ্যক্ষ মোঃ নাসির উদ্দীন, অধ্যক্ষ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক আনোয়ার সাদাত, অধ্যাপক আসাদুজ্জামান আকাশ, সহকারী অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, জিয়া পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ মাফিকুর রহমান প্রমুখ।